রক্তচাপ
হলো আমাদের শরীরের সামগ্রিক স্বাস্থ্য এবং সুস্থতার একটি গুরুত্বপূর্ণ সূচক ।
কার্ডিওভাস্কুলার স্বাস্থ্যের মূল্যায়নের জন্যে এটি অত্যন্ত প্রয়োজনীয় ভূমিকা পালন
করে থাকে । রক্তচাপের পরিমাপ আমাদের শরীর কতোটা ভালোভাবে কাজ করছে বা কতোটা সুস্থ
আছে তার মূল্যবান দিক-নির্দেশ করে । আমরা এই ব্লগ পোস্টে রক্তচাপ কি, বয়স অনুসারে
স্বাভাবিক রক্তচাপ, আপনার রক্তচাপ কি হওয়া উচিত, ১৪০/৯০ কি নতুন নর্মাল, কিভাবে
রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করা যায় ইত্যাদি বিষয়গুলি নিয়ে আলোচনা করবো । আর এই আলোচনার
মুখ্য উদ্দেশ্য হবে রক্তচাপ সম্পর্কে সচেতনতা বাড়ানো, যাতে আমরা নিজেদের এবং
আমাদের পরিবারের সদস্যদের স্বাস্থ্য এবং সুস্থতা সম্পর্কে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে
সক্ষম হই ।
রক্তচাপ কি
?
রক্তচাপ
হলো শরীরের মধ্যে থাকা রক্তনালীগুলির মধ্যে রক্তপ্রবাহের সময়ে তৈরী হওয়া চাপ বা
প্রেশার । এটি সাধারণত: পারদের মিলিমিটার (mmHg) একক দ্বারা
পরিমাপ করা হয়ে থাকে এবং সিস্টোলিক চাপ এবং ডায়াস্টোলিক চাপ দুটি শব্দবন্ধ দ্বারা
নির্দেশ করা হয়ে থাকে ।
১)
সিস্টোলিক চাপ – এটি হলো প্রথম বা উচ্চতর সংখ্যা, যা আমাদের হৃদস্পন্দনের সময়ে
ধমনীতে রক্তচাপের পরিমাপ নির্দেশ করে ।
২)
ডায়াস্টোলিক চাপ – এটি হলো দ্বিতীয় এবং নিম্নতর সংখ্যা, যা আমাদের হৃদস্পন্দনের
সময়ে হার্টের বিশ্রামজনিত সময়ে ধমনীতে রক্তচাপের পরিমাপ নির্দেশ করে ।
রক্তচাপের
রিডিং সাধারণত: সিস্টোলিক এবং ডায়াস্টোলিকের হিসাবে প্রকাশ করা হয় (যেমন – ১২০/৮০ mmHg) । এই সংখ্যাগুলি আমাদের হার্ট এবং রক্তনালীগুলি
একসাথে কতোটা ভালোভাবে কাজ করছে তার একটি ধারণা প্রদান করে দেয় ।
বয়স অনুযায়ী স্বাভাবিক রক্তচাপ
মানুষের
বয়সের উপরে ভিত্তি করে রক্তচাপের মানগুলির পরিবর্তন হতে পারে । এখানে আমরা বিভিন্ন
বয়সের জন্যে স্বাভাবিক রক্তচাপের একটি মাত্রা দেওয়ার চেষ্টা করলাম ।
১)
শিশু এবং কিশোর (১ – ১৭ বছর)
(ক) শিশু (০ থেকে ১২ মাস) – ৬০-৯০/৩০-৬৫ mmHg
(খ) শিশু (১ থেকে ৫ বছর) – ৮০-১১০/৪৫/৭০ mmHg
(গ) শিশু (৬ থেকে ১৩ বছর) – ৯০-১২০/৫০-৮০ mmHg
(ঘ) কিশোর (১৪ থেকে ১৭ বছর) – ১১০-১৩১/৬৪-৮৩ mmHg
২) প্রাপ্তবয়স্ক ( ১৮ - ৬৪ বছর)
(ক) তরুণ প্রাপ্তবয়স্ক (১৮ থেকে ২৪ বছর) –
১১০-১৩০/৭০-৮৫ mmHg
(খ) প্রাপ্তবয়স্ক (২৫ থেকে ৬৪ বছর) – ১২০/৮০ mmHg,
এই পরিমাপগুলিকে সাধারণত: স্বাভাবিক হিসাবে
বিবেচনা করা হয়ে থাকে, ১২০-১২৯/৮০ mmHg– য়ের চেয়ে কম উচ্চতর হিসাবে ।
৩) সিনিয়র (৬৫ বছর বা তার বেশি)
(ক) বয়স্ক প্রাপ্তবয়স্ক (৬৫+ বছর) – রক্তচাপ
সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে । ১৩০-১৪৫/৭০-৯০ mmHg, গ্রহণযোগ্য বলে বিবেচনা করা হয়ে থাকে । কিন্তু,
এই বয়সের মানুষদের ক্ষেত্রে, স্বতন্ত্র মূল্যায়ন অপরিহার্য, কারণ কিছু বয়স্ক
প্রাপ্তবয়স্কদের ক্ষেত্রে সামগ্রিক স্বাস্থ্যের উপরে ভিত্তি করে পরিমাপ কমবেশি হতে
পারে ।
রক্তচাপের এই ব্যাপ্তিগুলিকে বোঝা এবং তার উপরে ভিত্তি
করে ঝুঁকিগুলিকে শনাক্ত করে স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারীদের সহায়তা নেওয়া যেকোন
মানুষের ক্ষেত্রে বিপদ এড়ানোর জন্যে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ।
আপনার রক্তচাপ কি হওয়া উচিত ?
আমেরিকান
হার্ট অ্যাসোসিয়েশন (AHA)-এর তথ্য
অনুসারে, রক্তচাপের পরিমাপের বিভাগগুলিকে নিম্নলিখত ভাবে নির্দেশ করা যেতে পারে ।
(ক)
স্বাভাবিক – ১২০/৮০ mmHg য়ের কম
(খ)
উন্নত রক্তচাপ – ১২০-১২৯/<৮০ mmHg
(গ)
উচ্চ রক্তচাপ পর্যায় ১ – ১৩০-১৩৯/৮০-৮৯ mmHg
(ঘ)
উচ্চ রক্তচাপ পর্যায় ২ – ১৪০/৯০ mmHg বা তার উপরে
(ঙ)
হাইপারটেনসিভ ক্রাইসিস – ১৮০-১২০ mmHg বা তার বেশি
(তৎক্ষণাৎ চিকিৎসার প্রয়োজন)
বেশিরভাগ
প্রাপ্তবয়স্কদের ক্ষেত্রে খেয়াল রাখা উচিত যেন ১৩০/৮০ mmHg – য়ের নীচে যেন রক্তচাপ বজায় থাকে । যাইহোক, পৃথক
স্বাস্থ্য পরিস্থিতি এবং বিভিন্ন শারীরিক কারণের উপরে ভিত্তি করে রক্তচাপের পরিমাপ
ব্যক্তিবিশেষে পরিবর্তিত হতে পারে । বিশেষ উপদেশ বা পরামর্শের জন্যে একজন পেশাদার
স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারীর সঙ্গে যোগাযোগ করা উচিত ।
১৪০/৯০ কি নতুন নর্মাল ?
স্বাভাবিক
রক্তচাপের পরিমাপ কি হবে তা বছরের পর বছর বিভিন্ন উপলব্ধির পরে বিকশিত হয়েছে ।
অতীতে, অনেক প্রাপ্তবয়স্কদের ক্ষেত্রে ১৪০/৯০ mmHg রক্তচাপের রিডিং গ্রহণযোগ্য বলে বিবেচিত হতে
দেখা গেছে । কিন্তু বর্তমান সময়ে আমেরিকান কলেজ অফ কার্ডিওলজি এবং আমেরিকান হার্ট
অ্যাসোসিয়েশনের নির্দেশিকা অনুযায়ী ১৪০/৯০ mmHg রক্তচাপের রিডিং স্টেজ ১ হাইপারটেনশন নির্দেশ
করে । আসলে সাম্প্রতিক নির্দেশিকাগুলি এমন কোন সামান্যতম উচ্চতর রিডিংগুলির উপরেও
জোর দেয়, যে কিনা কার্ডিওভাস্কুলার সিস্টেম জনিত কোন সমস্যার ঝুঁকি বাড়িয়ে তুলতে
পারে ।
আর
এই দৃষ্টভঙ্গির পরিবর্তনটি উচ্চ রক্তচাপকে হৃদরোগ, বিভিন্ন কার্ডিওভাস্কুলার
সমস্যা, স্ট্রোক এবং অন্যান্য স্বাস্থ্য-সমস্যাগুলির সঙ্গে যুক্ত বিভিন্ন বিস্তৃত
গবেষণার থেকে উদ্ভূত হয়েছে । সেইদিক থেকে বিবেচনা করলে ১৪০/৯০ mmHg রক্তচাপের রিডিংকে
যদিও হাইপারটেনসিভ সঙ্কট হিসাবে শ্রেণীবদ্ধ নাও করা যায়, তাহলেও এই রিডিংকে কিন্তু
গুরুত্ব সহকারে নেওয়া এবং জীবনধারার পরিবর্তন বা চিকিৎসার আওতায় আসা অপরিহার্য ।
বস্তত:পক্ষে
রক্তচাপের রিডিং ১৪০/৯০ mmHg-য়ের
চেয়ে কম রাখলে হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোক এবং কিডনীর সমস্যা সহ বিভিন্ন প্রানঘাতী
ঝুকি এড়ানো যেতে পারে এবং সিদ্ধান্ত এবং পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে সামগ্রিক
স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটানো যেতে পারে । কারণ, ডায়াবেটিস বা হৃদরোগের মতো
সমস্যাযুক্ত ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে রক্তচাপের কঠোর নিয়ন্ত্রণ প্রয়োজন ।
কিছু
ব্যক্তি রক্তচাপের পরিমাপ করার “হোয়াইট কোট সিন্ড্রোম”-য়ে ভোগার জন্যে রক্তচাপের
পরিমাপ সামান্য হেরফের হতে পারে । তার মানে হলো, হয়তো তার ক্ষেত্রে তার স্বাভাবিক
রক্তচাপের চেয়ে তার রক্তচাপের রিডিং বেশি হতে পারে । কিন্তু ১৪০/৯০ mmHg রক্তচাপের রিডিং
সবসময়েই একটি বিপজ্জনক রেখা বলে ধরে নিতে হবে । কারণ, উচ্চ রক্তচাপের বিষয়ে জড়িত
বিভিন্ন বিস্তৃত গবেষণা করার পরে এই রিডিংকে একটি থ্রেশহোল্ড হিসাবে ধরে নেওয়া
হয়েছে । তাই কোন কোন বিশেষ ব্যক্তির ক্ষেত্রে ১৪০/৯০ mmHg রক্তচাপের রিডিং
স্বাভাবিক হলেও হতে পারে, কিন্তু এই রিডিংকে একটি “নতুন নর্মাল” বা নতুন স্বাভাবিক
বলে বিবেচনা করা হয় না ।
কিভাবে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করা যায়
কার্যকরীভাবে
রক্তচাপের সমস্যাকে নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্যে জীবনযাত্রার পরিবর্তনের সংমিশ্রণ এবং
প্রয়োজনে ওষুধের সাহায্য নেওয়ার সমন্বয়ের সাথে গভীরভাবে জড়িত । কিছু পরিবর্তন, যা
আমাদের রক্তচাপের উপরে সদর্থক প্রভাব বিস্তার করতে পারে, সেরকম কিছু পরিবর্তন বা
পদক্ষেপ এখানে আলোচনা কর হলো ।
১) স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস গড়ে তুলুন – একটি সুষম
খাদ্য খাওয়ার অভ্যাস রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণের জন্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ এবং কার্যকর
উপায়গুলির মধ্যে অন্যতম । কি কি খাবার খেতে পারেন তার একটি তালিকা নীচে দেওয়া হলো
:
(ক)
ফল এবং শাকসব্জি – পুষ্টির পরিমাণ বিস্তার করার জন্যে বিভিন্ন রঙের দিকে লক্ষ্য
রাখুন ।
(খ)
সম্পূর্ণ শস্য – বাদামী চাল, পুরো গমের রুটি এবং ওটস খেতে পারেন ।
(গ)
চর্বিহীন প্রোটিন – এর জন্যে সহজপাচ্য মাছ, মুরগীর মাংস এবং বাদাম বেছে নিন ।
(ঘ) লো-ফ্যাট ডেয়ারী – কম চর্বিযুক্ত বা নন-ফ্যাট দুধ, দই এবং পনীর অন্তর্ভুক্ত করুন ।
(ঘ)
সোডিয়াম গ্রহণ নিয়ন্ত্রণ করুন – উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা নিয়ন্ত্রণের জন্যে সারাদিনে
সর্বোচ্চ ২৩০০ বা ১৫০০ মিলিগ্রামের নীচে কম সোডিয়াম গ্রহণ করার চেষ্টা করুন ।
২)
শারীরিক কার্যকলাপে যুক্ত থাকুন – নিয়মিত ব্যয়াম হার্টকে শক্তিশালী রাখে এবং
রক্তপ্রবাহের উন্নতি ঘটায়, যা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে । প্রতি
সপ্তাহে কমপক্ষে ১৫০ মিনিটের মাঝারি অ্যারোবিক্স বা ৭৫ মিনিটের জোরালো কার্যকলাপের
লক্ষ্য রাখতে পারলে ভালো হয় । নীচের কার্যকলাপগুলিকে অন্তর্ভুক্ত করতে পারেন :
(ক)
দ্রুত হাঁটা
(খ)
সাইকেল চালানো
(গ)
সাঁতার কাটা
(ঘ)
নাচ করা
(ঙ)
গাছপালা প্রতিপালন বা বাগান করা
৩)
স্বাস্থ্যকর ওজন বজায় রাখুন – শরীরের অতিরিক্ত ওজন উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি বাড়ায় ।
শরীরের মোট ওজনের একটি ছোট অংশের ওজন কমানোও অনেক সময়ে উল্লেখযোগ্যভাবে রক্তচাপ
নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে । স্বাস্থ্যকর ডায়েট এবং ব্যয়ামের সমন্বয়ে একটি স্বাস্থ্যকর
বডি মাস ইনডেক্স (BMI) ধারণের দিকে খেয়াল রাখা উচিত ।
৪)
অ্যালকোহল এবং তামাক গ্রহণ বর্জন করুন – অতিরিক্ত অ্যালকোহল সেবন করার প্রবণতা
রক্তচাপের সমস্যা বাড়াতে পারে । তাছাড়া ধূমপান এবং তামাক গ্রহণও উচ্চ রক্তচাপ এবং
কার্ডিওভাস্কুলার সমস্যার ঝুকি বাড়াতে পারে । তাই এগুলির অভ্যাস বর্জন করা
রক্তচাপের সমস্যা নিয়ন্ত্রণে উল্লেখযোগ্য উন্নতি ঘটাতে পারে ।
৫)
স্ট্রেস নিয়ন্ত্রণ করুন – দীর্ঘস্থায়ী স্ট্রেস উচ্চ রক্তচাপের ক্ষেত্রে ব্যাপক
প্রভাবকারী । তাই নীচে দেওয়া স্ট্রেস নিয়ন্ত্রণ করার কিছু কৌশলের মধ্যে কোন একটি
বা দুটি অবলম্বন করুন :
(ক)
যোগ-ব্যয়াম
(খ)
ধ্যানের অভ্যাস
(গ)
গভীর শ্বাসের ব্যয়াম
(ঘ)
শখ এবং অবসর ক্রিয়াকলাপ
এই
কাজগুলো মানসিক সুস্থতা বাড়াতে, স্ট্রেস কমাতে এবং রক্তচাপের মাত্রা নিয়ন্ত্রণের
জন্যে সাহায্য করতে পারে ।
৬)
নিয়মিত পর্যবেক্ষণ এবং চিকিৎসা – সামান্যতম অস্বস্তি বোধ হলেই বাড়িতে বা কোন
স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারীর কাছে নিয়মিত আপনার রক্তচাপ পরীক্ষা করান । মনে রাখবেন,
আপনার রক্তচাপের রিডিংগুলির ট্র্যাক রাখা আপনাকে প্রবণতা বুঝতে বা ডাক্তারের সাথে
পরামর্শের ক্ষেত্রে সাহায্য করতে পারবে তাই রিডিংগুলির ট্র্যাক রাখার চেষ্টা করুন
। যদি জীবনযাত্রার পরিবর্তন পর্যাপ্ত না হয় তাহলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণের জন্যে
ওষুধের সাহায্য নিতে দেরী করবেন না ।
৭)
সচেতন হোন – রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে সচেতনতা বা জ্ঞানই হলো শক্তি । উচ্চ
রক্তচাপের সম্পর্কে, খাদ্যাভ্যাস সম্পর্কে, কার্যকর কৌশল সম্পর্কে নিজেকে সচেতন
করে তুলুন । তথ্যর জন্যে ইন্টারনেট এবং পরামর্শের জন্য কোন পেশাদার স্বাস্থ্যসেবা
প্রদানকারীর সাহায্য নিন ।
রক্তচাপ
সামগ্রিক স্বাস্থ্যের ক্ষেত্রে কি প্রভাব ফেলতে পারে তা বোঝা এবং জানা প্রত্যেকের
জন্যে অপরিহার্য । বয়স অনুসারে রক্তচাপ কি হওয়া উচিত তা বর্তমান দিনে প্রত্যেকের
সচেতনতার বিষয় হওয়া উচিত । কারণ রক্তচাপের রিডিং বুঝে তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার
বিষয়টি কোন মানুষের প্রাণের ঝুঁকি এড়ানোর ক্ষেত্রে সাহায্য করতে পারে । তাছাড়া
রক্তচাপের রিডিং বুঝে আপনি আপনার নিজের বা আপনার পরিবারের সদস্যদের সামগ্রিক
স্বাস্থ্যের ব্যাপারে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিতে পারেন । তাই এই ব্লগ পোস্টটি পড়ে
যদি আপনার কার্যকর মনে হয়, তাহলে অন্যকে শেয়ার করার জন্যে অনুরোধ রইলো ।
0 মন্তব্যসমূহ