সোডিয়াম একটি অত্যাবশ্যক খনিজ, যা আমাদের সুস্থতার ক্ষেত্রে অত্যন্ত উল্লেখযোগ্যভাবে অবদান রাখে । এর অপরিসীম গুরুত্ব থাকা সত্ত্বেও, এর কার্যকারিতা, উৎস এবং আমাদের শরীরের উপর এর প্রভাব সম্পর্কে ব্যাপক অনিশ্চয়তা রয়েছে । এই ব্লগ পোস্টে আমরা সোডিয়াম সম্পর্কে জরুরীভাবে যা জানা দরকার সেগুলি নিয়ে আলোচনা করবো । এর মধ্যে রয়েছে সোডিয়াম আমাদের শরীরে কী কাজ করে, সোডিয়াম এবং লবণ কি একই জিনিস, সোডিয়াম কোন অঙ্গের জন্য ক্ষতিকর, একটি সাধারণ সোডিয়াম স্তর কী, অতিরিক্ত লবণ গ্রহণের লক্ষণ কী এবং নিম্ন সোডিয়াম স্তরের প্রভাব কী? শরীরে সোডিয়াম কম থাকলে কি হয় এবং শরীরে সোডিয়ামের স্তরে ভারসাম্য বজায় রাখার গুরুত্ব কি?
সোডিয়াম আমাদের শরীরে কী করে ?
সোডিয়াম শরীরের একটি অত্যাবশ্যক ইলেক্ট্রোলাইট হিসাবে কাজ করে, বৈদ্যুতিক আবেগের পরিবাহকে সহজতর করে। এখানে এর কিছু মূল ফাংশন রয়েছে :
১)
তরলের ভারসাম্য বজায় রাখা : সোডিয়াম আমাদের কোষ এবং রক্তের মধ্যে তরলের ভারসাম্য নিয়ন্ত্রণে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে । এটি জলকে শোষণ করে এবং ধরে রাখে, যা রক্তের পরিমাণ এবং চাপ বজায় রাখার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ।
২) স্নায়ুর কার্যকারিতা :
সোডিয়াম স্নায়ুর কার্যকারিতা বজায় রাখতে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে । এটি স্নায়ু এবং পেশীগুলির মধ্যে যোগাযোগ সহজতর করে তোলার জন্যে্ একটি পরিস্থিতি তৈরী করতে সহায়তা করে ।
৩) পেশী ফাংশন :
সোডিয়ামের সঠিক মাত্রা বজায় থাকা পেশী সংকোচনের জন্যে একটি অপরিহযর্য শর্ত । অপর্যাপ্ত সোডিয়ামের মাত্রা সঠিক পেশী ফাংশনে বাধা দিতে পারে এবং দুর্বলতা বা ক্র্যাম্পিংয়ের কারণ হতে পারে ।
৪) অ্যাসিড-বেস ব্যালেন্স : সোডিয়াম শরীরের pH মাত্রা নিয়ন্ত্রণে, অর্থাৎ শরীরের অ্যাসিড ও ক্ষারের মাত্রা বজায় রাখায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে, যা সঠিক সেলুলার ফাংশনগুলির জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয় ।
৫) পুষ্টি-উপাদানের শোষণ : সোডিয়াম গ্লুকোজ এবং অ্যামিনো অ্যাসিড সহ অন্ত্রে অন্যান্য পুষ্টি-উপাদানের শোষণে গুরুত্বপুর্ণ ভূমিকা
নেয় ।
সোডিয়াম এবং লবণ কি একই জিনিস ?
যদিও সোডিয়াম এবং লবণ প্রায়শ:ই প্রতিশব্দ হিসাবে ব্যবহৃত হয়, কিন্তু এটি লক্ষ করা উচিত যে প্রকৃতপক্ষে তারা স্বতন্ত্র সত্তা । লবণ, সাধারণত: সোডিয়াম ক্লোরাইড (NaCl) নামে পরিচিত, যা একটি রাসায়নিক যৌগ যা সোডিয়াম এবং ক্লোরিন নিয়ে গঠিত । আর সোডিয়াম হলো লবণের গঠনের জন্যে প্রয়োজনীয় একটি উপাদান । যাইহোক,
এটি শরীরের মধ্যে বিভিন্ন আকারে উপস্থিত হতে পারে । "সোডিয়াম"
নিয়ে আলোচনা করার সময় আমরা সাধারণত: আমাদের রক্তপ্রবাহে উপস্থিত সোডিয়াম আয়নগুলির কথা উল্লেখ
করছি, যা আমাদের শরীরের কার্যকারিতার জন্য অত্যাবশ্যকীয় একটি মৌল উপাদান । আর অন্যদিকে, "লবণ” নামের যৌগটি সাধারণত
রান্না এবং খাদ্য সংরক্ষণে নিযুক্ত একটি মশলাকে
বোঝায় ।
সোডিয়াম কোন অঙ্গের জন্য খারাপ ?
সোডিয়াম আমাদের কিডনী এবং কার্ডিওভাসকুলার সিস্টেমের জন্যে প্রতিকূল পরিস্থিতি তৈরী করতে পারে –
১) কিডনী : কিডনী শরীরের একটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ করে, যা হলো সোডিয়ামের মাত্রা বজায় রাখ । অত্যধিক সোডিয়াম কিডনীর উপরে চাপ সৃষ্টি করতে পারে, কারণ উদ্বৃত্ত সোডিয়ামকে ফিল্টার করার জন্যে
কিডনীকে অতিরিক্ত প্রচেষ্টা করতে হয় । সময়ের সাথে সাথে এই চাপের দীর্ঘ প্রভাবে
কিডনীর সমস্যার কারণ হয়ে উঠতে পারে ।
২) হার্ট : সোডিয়ামের অত্যধিক গ্রহণ রক্তচাপের বৃদ্ধির কারণ হতে পারে । আর যখন রক্তচাপ
বৃদ্ধি পায়, তখন এটি হৃৎপিন্ডকে অতিরিক্ত প্রচেষ্টার সঙ্গে কাজ করতে বাধ্য করে, যা
শেষ পর্যন্ত হৃদরোগ এবং স্ট্রোকের কারণ হয়ে উঠতে পারে ।
সুতরাং এই অঙ্গগুলির স্বাস্থ্য এবং শরীরের সামগ্রিক কার্যকারিতার জন্য একটি সুষম সোডিয়াম গ্রহণ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ।
একটি সাধারণ সোডিয়ামের স্তর কি ?
সাধারণত: শরীরের রক্তপ্রবাহে সোডিয়ামের মাত্রা প্রতি লিটারে
১৩৫ (mEq/l) থেলে ১৪৫ (mEq/l)-য়ের মধ্যে পড়ে । তবুও, সোডিয়ামের মাত্রা বিভিন্ন কারণের জন্যে ওঠানামা করতে পারে, যেমন - শরীরের হাইড্রেশন অবস্থা, খাদ্যাভ্যাস এবং সামগ্রিক স্বাস্থ্য ।
১) শরীরে কম সোডিয়ামের মাত্রা (হাইপোনাট্রেমিয়া) : সোডিয়ামের মাত্রা ১৩৫ (mEq/l) এর
নীচে যাওয়ার ফল হিসাবে বিভ্রান্তি, মাথাব্যথা, বমি বমি ভাব এবং আরো গুরুতর ক্ষেত্রে খিঁচুনীর লক্ষণ দেখা দিতে পারে ।
২) শরীরের সোডিয়ামের উচ্চ মাত্রা (হাইপারনেট্রেমিয়া) : শরীরে সোডিয়ামের যদি ১৪৫
(mEq/l) –য়ের বেশি হয়ে যায় এবং ব্যবস্থা না নেওয়া হলে তৃষ্ণা,
অস্থিরতা এবং এমনকি মস্তিষ্কের কর্মহীনতার মতো লক্ষণ দেখা দিতে পারে । নিয়মিত চেক-আপ এবং রক্ত পরীক্ষা সোডিয়ামের মাত্রার ট্র্যাক রাখতে সহায়তা করতে পারে, বিশেষত: সেইরকম ক্ষেত্রে যাদের
এইরকম হওয়ার পূর্ব ইতিহাস থাকে ।
অত্যধিক লবণের লক্ষণ কি ?
অত্যধিক লবণ খাওয়ার ফল হিসাবে স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে এবং শরীরে সোডিয়ামের মাত্রা বেশি হতে পারে । সেইসব ক্ষেত্রে কিছু লক্ষণের শনাক্তকরণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠতে পারে
। আসুন আমরা সেইরকম কিছু লক্ষণ সম্পর্কে জেনে নিই –
১) প্রবল তৃষ্ণা : অতিরিক্ত সোডিয়াম গ্রহণের ফল হিসাবে ডিহাইড্রেশন হতে পারে । যেহেতু সোডিয়াম শরীরের
তরলের বজায় রাখতে কাজ করে, তাই শরীরে তরলের প্রতি তীব্র চাহিদা তৈরী হতে পারে ।
২) শরীর ফোলা : অতিরিক্ত লবণ
গ্রহণের ফলে সোডিয়ামের স্বাভাবিক প্রবণতার ফল হিসাবে জল ধরে রাখতে পারে । আর তার
ফল হিসাবে হাত, পা, গোড়ালির মতো অঞ্চলগুলিতে ফোলাভাব দেখা দিতে পারে ।
৩) উচ্চ রক্তচাপ :
অত্যধিক লবণ গ্রহণের ফলে উচ্চ
রক্তচাপের সমস্যা দেখা দিতে পারে, যা স্বাস্থ্যের পক্ষে একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ
এবং ঝুকিপূর্ণ দিক এবং এটি আরো জটিলতর স্বাস্থ্য-সমস্যার দিকে অগ্রসর হতে পারে ।
কারণ, সোডিয়াম রক্তচাপের বৃদ্ধির সঙ্গে সরাসরিভাবে যুক্ত ।
৪) ঘন ঘন মাথাব্যথা : শরীরে
সোডিয়ামের উচ্চ মাত্রার লক্ষণ হিসাবে কোন কোন ব্যক্তির ক্ষেত্রে ঘন ঘন মাথাব্যথার
লক্ষণ দেখা দিতে পারে ।
৫) ক্লান্তি বোধ : শরীরে সোডিয়ামের
মাত্রা উচ্চ হওয়ার কারণে হৃৎপিন্ড এবং কিডনীর উপরে বাড়তি চাপ পড়ে, আর তার ফল
হিসাবে শরীরে সামগ্রিক ক্লান্তি এবং শক্তির অভাব দেখা দেয় ।
যদি কারো শরীরের উপরে উল্লিখিত
লক্ষণগুলির মধ্যে কোন লক্ষণ দেখা দেয়, তবে আপনার সোডিয়ামের ব্যালেন্স বজায় রাখার
উপায় ভাবতে হবে বা শরীর থেকে অতিরিক্ত লবণ বার করে দেওয়ার উপায় খুজতে হবে ।
শরীরে সোডিয়াম কম থাকলে কী হয় ?
শরীরের সোডিয়ামের মাত্রা কম হওয়া, যা হাইপোনাট্রেমিয়া নামেও পরিচিত,
সোডিয়ামের মাত্রা বেশি হওয়ার মতোই উদ্বেগের কারণ হতে পারে । শরীরে সোডিয়ামের
মাত্রা কম হওয়ার কারণগুলির মধ্যে থাকে অত্যধিক ঘাম হওয়া, কিছু ওষুধের প্রতিক্রিয়ার
ফল অথবা এমনকিছু শারীরিক পরিস্থিতি যা শরীরের জলের ভারসাম্যকে বিঘ্নিত করতে পারে ।
আমরা এখানে শরীরে সোডিয়ামের মাত্রা কম হওয়ার ফলে দেখা দিতে পারে এমনকিছু লক্ষণের
কথা আলোচনা করা হলো ।
১) বমি বমি ভাব : সোডিয়ামের কম মাত্রা শরীরের সিস্টেমে তরলের ভারসাম্যকে
বিপর্যস্ত করতে পারে, যার ফলে গ্যাস্ট্রো-ইনটেস্টিনাল অস্বস্তি হয় এবং বমি বমি ভাব
বোধ হয়, কখনো বমিও হতে পারে ।
২) মাথাব্যথা এবং বিভ্রান্তি : স্নায়ূর কার্যকারিতার উপরে সোডিয়ামের প্রভাব
ব্যাপক । তা্ই, সোডিবামের কম মাত্রার ফলে মাথা ব্যথা, নিভ্রান্তি দেখা দিতে পারে
এবং জ্ঞানীয় ফাংশনকেও প্রভাবিত করতে পারে ।
৩) মাসল ক্র্যাম্প এবং দুর্বলতা : শরীরে সোডিয়ামের কম মাত্রা পেশী সংকোচনকে
ব্যাহত করতে পারে । যার ফল হিসাবে ক্র্যাম্ এবং দুর্বলতা দেখা দিতে পারে ।
৪) খিঁচুনী : হাইপোনাট্রেমিয়ার গুরুতর ক্ষেত্রে, উল্লেখযোগ্য ইলেকট্রোলাইটের
ভারসাম্যহীনতার ফল হিসাবে খিঁচুনী দেখা দিতে পারে ।
৫) কোমা বা মৃত্যু : শরীরে সোডিয়ামের কম হওয়ার চরম অবস্থায়, পরিস্থিতি জটিল
হয়ে উঠতে পারে । এই ধরনের পরিস্থিতিতে ব্যক্তি কোমায় চলে যাওয়া বা মৃত্যুর ঘটনাও
ঘটতে পারে । সুতরাং এই ধরনের কোন উপসর্গকে গুরুত্বের সঙ্গে মোকাবিলা করা অত্যন্ত
গুরুত্বপূর্ণ ।
সোডিয়াম গ্রহণের ভারসাম্য বজায় রাখা
সোডিয়ামের বিভিন্ন খারাপ দিকগুলোকে
এড়িয়ে গিয়ে শরীরকে সুস্থ রাখার সবচেয়ে সহজ রাস্তা হলো শরীরে সোডিয়ামের মাত্রার
ভারসাম্য বজায় রাখা । আর সোডিয়ামের ভারসাম্য বজায় রাখার ব্যাপারে এখানে কিছু টিপস
আলোচনা করা হলো –
১) প্রক্রিয়জাত খাবার সীমিত করুন –
প্রক্রিয়াজাত খাবার সীমিত করে তাজা, সম্পূর্ণ খাবার খাওয়ার চেষ্টা করুন । এর ফলে শরীরে
সোডিয়ামের মাত্রা কম থাকবে ।
২) লেবেল দেখে খাবার কিনুন – প্রক্রিয়াজাত
খাবারগুলি প্রায়শ্:ই অতিরিক্ত সোডিয়াম দিয়ে প্যাক করা হয় । সুতরাং খাবার কেনার
সময়ে লেবেল দেখে সোডিয়ামের মাত্রা যাচাই করুন এবং তারপরে কিনুন ।
৩) বাড়িতে রান্না করুন – বাড়িতে
রান্না করে খাবার তৈরী করার অভ্যাসের মাধ্যমে আপনি আপনার এবং আপনার পরিবারের
সদস্যদের লবণ গ্রহণের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হবেন ।
৪) হাইড্রেটেড থাকার চেষ্টা করুন –
শরীরে তরলের ভারসাম্য বজায় রাখা এবং কিডনীকে স্বাস্থ্যকর রাখা এবং তার কার্যকারিতা
বজায় রাখার জন্যে সবসময় হাইড্রেটেড থাকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ । যার মাধ্যমে আপনি
শরীরের সোডিয়ামের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম হবেন ।
৫) নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করুন –
নিয়মিত স্বাস্থ্য চেক-আপ করলে আপনি আপনার শরীরের সোডিয়ামের মাত্রা সম্পর্কে
ওয়াকিবহাল থাকবেন এবং সঠিক সময়ে প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন ।
সোডিয়াম একটি গুরুত্বপূর্ণ
পুষ্টি-উপাদান, যা বিভিন্ন শারীরিক কার্যকলাপকে সমর্ধন করার জন্যে গুরুত্বপূর্ণ
ভূমিকা পালন করে । সুতরাং এটিকে বর্জন করা নয়, বরং সাবধানতা ও সচেতনতার সঙ্গে
গ্রহণ করাই সামগ্রিক স্বাস্থ্য ও সুস্থতার জন্যে প্রয়োজনীয় । সাধারণ লবণ এবং
সোডিয়ামের মধ্যে পার্থক্য বোঝা, বেশি বা কম মাত্রায় গ্রহণের ফলে শরীরের
লক্ষণগুলিকে বোঝা এবং সোডিয়াম গ্রহণের মধ্যে ভারসাম্য রক্ষা করা আমাদের সামগ্রিক
সুস্থতার জন্যে একটি প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ হতে পারে । আর এটা আমরা করতে পারি, নিজেদের
খাদ্যতলিকা সম্পর্কে সচেতন হয়ে, নিজেদের শরীরকে বুঝে এবং তার সঙ্কেতগুলোকে বোঝার
মাধ্যমে । মনে রাখবেন, খুব বেশি বা খুব কম সোডিয়াম কোনটাই আপনার শরীর ও সুস্থতার
জন্যে বাঞ্ছনীয় নয় । আপনার স্বাস্থ্যকে অগ্রাধিকার দিন এবং সুস্থতার জন্যে
সোডিয়ামের মাত্রা নিরীক্ষণ করে তার ভারসাম্য বজায় রাখার চেষ্টা করুন ।
আশাকরি, এই ব্লগ পোস্টে দেওয়া
সোডিয়াম সম্পর্কে দেওয়া তথ্যগুলি আপনার এবং আপনার পরিবারের সদস্যদের ভালো রাখার
জন্যে আপনাকে সাহায্য করবে । যদি আপনার এই ব্লগ পোস্টটি পড়ে আপনার কার্যকরী মনে
হয়, তাহলে অন্যকে শেয়ার করার অনুরোধ রইলো ।
0 মন্তব্যসমূহ