Header Ads Widget

অশ্বগন্ধা : ব্যবহার, পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া এবং অন্যান্য দিকগুলো ...



অশ্বগন্ধা, বৈজ্ঞানিকভাবে উইথানিয়া সোমনিফেরা (Withania somnifera) নামে পরিচিত, একটি প্রাচীন ঔষধিয় ভেষজ, যা হাজার হাজার বছর ধরে আয়ুর্বেদিক ওষুধের ভিত্তি হিসাবে সুপরিচিত । একে "ভারতীয় জিনসেং" বা "শীতকালীন চেরি" হিসাবেও উল্লেখ করা হয়ে থাকে । অশ্বগন্ধা তার বিশেষ অভিযোজনীয় বৈশিষ্ট্যর জন্য ঔষধিয় জগতে অত্যন্ত বিখ্যাত, যা শরীরকে বিভিন্ন চাপের সাথে খাপ খাইয়ে নিতে এবং সামগ্রিক সুস্থতার ক্ষেত্রে সহায়তা করে এই প্রাচীন ভেষজটি সাম্প্রতিক বছরগুলিতে বিশেষ জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে, আর তার কারণ হলো সাম্প্রতিক সময়ে মানুষের মধ্যে প্রাকৃতিক প্রতিকারের মাধ্যমে তাদের স্বাস্থ্যের খেয়াল রাখার প্রবণতা বেড়েছে । প্রধানত: ভারতীয় উপমহাদেশ এবং আফ্রিকার কিছু অংশে অশ্বগন্ধাকে জন্মাতে দেখতে পাওয়া যায় । এটি ঐতিহ্যগতভাবে জীবনীশক্তি বৃদ্ধি, সহনশীলতা উন্নত করতে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে ব্যবহৃত হয় এটির নাম সংস্কৃত থেকে উদ্ভূত, যার অনুবাদ করলে অর্থ হয় "ঘোড়ার গন্ধ" যা এর সম্পূর্ণ অন্য রকম একটি গন্ধ এবং এটি শরীরে যে শক্তি প্রদান করে বলে বিশ্বাস করা হয় উভয়কেই বোঝাতে সাহায্য করে বা প্রকাশ করে ।

আমরা এই ব্লগ পোস্টে অশ্বগন্ধায় পাওয়া পুষ্টি-উপাদান এবং এর পুষ্টিগুণ, পুরুষদের জন্য অশ্বগন্ধার উপকারিতা, মহিলাদের জন্যে অশ্বগন্ধার উপকারিতা, প্রতিদিন কত অশ্বগন্ধা খাওয়া উচিত, খাদ্য-পরিপূরক হিসাবে অশ্বগন্ধার ব্যবহার, অশ্বগন্ধার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া এবং সতর্কতা এবং গ্রহণের জন্যে বিশেষ সতর্কতা ইত্যাদি বিষয়গুলি নিয়ে আলোচনা করবো ।  

অশ্বগন্ধার পুষ্টিগুণ

অশ্বগন্ধা বিভিন্ন ধরনের জৈবিক যৌগ-উপাদান দ্বারা সমৃদ্ধ, যা আমাদের স্বাস্থ্যক্ষেত্রে ব্যাপকভাবে প্রভাব বিস্তার করার ক্ষমতা রাখে । এর মধ্যে উপস্থিত জৈব যোগগুলির মধ্যে রয়েছে –

১) অ্যালকালয়েড : এইধরনের জৈব যৌগগুলির মধ্যে উদ্বেগ কমানো এবং মেজাজ উন্নত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে দেখা যায় ।

২) স্টেরয়েডাল ল্যাকটোনস (উইথানোলাইডস) : উইথানোলাইডে অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ইমিউনোমোডুলেটরি বৈশিষ্ট্য দেখতে পাওয়া যায় ।

৩) স্যাপোনিনস : এই ধরনের যৌগগুলি তাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিকারী প্রভাবের জন্য অত্যন্ত পরিচিত ।

৪) ফ্যাটি অ্যাসিড : ফ্যাটি অ্যাসিড সামগ্রিক স্বাস্থ্য এবং সুস্থতার ক্ষেত্রে সাহায্য করে ।

৫) ভিটামিন এবং খনিজ : অশ্বগন্ধায় উল্লেখযোগ্য কিছু ভিটামিন, যেমন বি- ভিটামিন এবং খনিজ যেমন আয়রন এবং ক্যালসিয়াম থাকে ।

প্রতি ১০০ গ্রাম অশ্বগন্ধা চূর্ণে পুষ্টি-উপাদানের পরিমাণ মান তুলে ধরার জন্য এখানে একটি চার্ট দেওয়া হলো -


পুষ্টি-উপাদান

পরিমাণ

ক্যালোরি

২৭৭ কিলোক্যালরি

কার্বোহাইড্রেট

৪৪.৩ গ্রাম

প্রোটিন

৩.৭ গ্রাম

ফ্যাট

০.৩ গ্রাম

ফাইবার

১.২ গ্রাম

ক্যালসিয়াম

০.১০ গ্রাম (১০০ মাইক্রো.গ্রাম)

আয়রন

০.৫৫ গ্রাম (৫.৫ মিলিগ্রাম)

পটাসিয়াম

০.৬৬ গ্রাম (৬৬০ মিলিগ্রাম)

ম্যাগনেসিয়াম

০.০৯ গ্রাম (৯০ মিলিগ্রাম)

ভিটামিন সি

০.০২ গ্রাম (২০ মিলিগ্রাম)

উইথানোলাইডস (সক্রিয় যৌগ)

পরিবর্তিত হয় (সাধারণত ১-২%)

নোট : অশ্বগন্ধায় পাওয়া প্রাকৃতিকভাবে উদ্ভূত স্টেরয়েডের একটি গ্রুপ হলো উইথানোলাইডস, যা স্বাস্থ্যক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে ।

পুরুষদের জন্য অশ্বগন্ধা

১) টেস্টোস্টেরনের মাত্রা বাড়ায় বিভিন্ন পরীক্ষামূলক গবেষণায় দেখা গেছে যে অশ্বগন্ধা পুরুষদের মধ্যে টেস্টোস্টেরনের মাত্রা বাড়াতে সাহায্য করতে পারে এবং যার ফলে লিবিডো বা উর্বরতার সমস্যায় এবং সামগ্রিক জীবনীশক্তির উন্নতিতে সাহায্য করতে পারে । পরীক্ষমূলকভাবে দেখা গেছে যে পুরুষরা অশ্বগন্ধার পরিপূরক গ্রহণ করার ফলে  তাদের টেস্টোস্টেরনের মাত্রা এবং শুক্রাণুর গুণমান উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি পায় ।

২) পেশী শক্তি এবং কর্মক্ষমতা উন্নত করে - অশ্বগন্ধা শারীরিক কর্মক্ষমতা বাড়ানোর ক্ষেত্রে সুপরিচিত । বেশ কিছু গবেষণার ফলে দেখা গেছে যে পুরুষরা, যারা অশ্বগন্ধার পরিপূরক গ্রহণ করছেন তাদের পেশী শক্তি, সহনশীলতা উল্লেখযোগ্যভাবে পুনরুদ্ধার করতে পেরেছেন ।

৩) মানসিক স্বাস্থ্যের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ - পুরুষরা প্রায়শ:ই সামাজিক চাপের মুখোমুখি হন যা অজ্ঞাতসারে তাদের মানসিক চাপ এবং উদ্বেগের কারণ হয় । অশ্বগন্ধা স্ট্রেস লেভেল এবং উদ্বেগ কমাতে সাহায্য করে, শান্ত এবং মানসিক স্বচ্ছতার বজায় রাখতে সাহায্য করে । এটি ফোকাস, অনুপ্রেরণা এবং সামগ্রিক সুস্থতারও উন্নতি ঘটাতে পারে ।

৪) হার্টকে ভালো রাখে এই ভেষজটির মধ্যে থাকা অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি এবং অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট উপাদানগুলি কোলেস্টেরলের মাত্রা বজায় রাখতে সাহায্য করে এবং সামগ্রিক কার্ডিওভাস্কুলার ফাংশনের উন্নতি ঘটিয়ে সামগ্রিকভাবে হার্ট এবং তার কার্যকারিতার উন্নতি ঘটায় ।

মহিলাদের জন্য অশ্বগন্ধা

১) হরমোনের ভারসাম্য বজায় রাখে - পিরিয়ডস, গর্ভাবস্থা বা মেনোপজের কারণে হরমোনের অস্থিরতার সম্মুখীন মহিলাদের জন্য অশ্বগন্ধা বিশেষভাবে উপকারী হতে পারে । অশ্বগন্ধা হরমোনের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে এবং মেজাজের পরিবর্তন, বিরক্তি এবং ক্লান্তির মতো উপসর্গগুলি দূর করতে সাহায্য করে ।

২) স্ট্রেস এবং উদ্বেগ কমায় - মহিলারা প্রায়শ:ই একাধিক দায়িত্ব নিয়ে কাজ করেন, যার ফলে তাদের মধ্যে চাপের মাত্রা বেড়ে যায় । অশ্বগন্ধার অভিযোজিত জৈবিক  বৈশিষ্ট্যগুলি তাদের মধ্যে স্ট্রেস পরিচালনা করতে, উদ্বেগ কমাতে এবং মানসিক স্থিতিস্থাপকতা উন্নত করতে সাহায্য করতে পারে ।

৩) প্রজনন স্বাস্থ্য সমর্থন করে - গর্ভধারণের চেষ্টা করা মহিলাদের জন্য, অশ্বগন্ধা পিরিয়ডের চক্র নিয়ন্ত্রণ করে এবং উর্বরতা বৃদ্ধি করে প্রজনন স্বাস্থ্যের উন্নতি করতে পারে ।

৪) ত্বকের উন্নতি ঘটায় - অশ্বগন্ধার অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্যগুলিও ত্বকের স্বাস্থ্যের জন্য উপকার করতে পারে । এটি অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কমাতে সাহায্য করে, একটি উজ্জ্বল বর্ণ ধারণ করতে এবং বার্ধক্য প্রক্রিয়া ধীর করতে সাহায্য করে ।

প্রতিদিন কত অশ্বগন্ধা খাওয়া উচিত

অশ্বগন্ধার ডোজ ব্যক্তিগত চাহিদা বা উদ্দেশ্য এবং ব্যক্তির স্বাস্থ্যের অবস্থার উপর ভিত্তি করে পরিবর্তিত হতে পারে । যাইহোক, সাধারণ একটি মাত্রার নির্দেশিকা এখানে দেওয়া হলো -

১) অশ্বগন্ধা পাউডার : প্রতিদিন ১ থেকে ২ চা চামচ (৩ থেকে ৬ গ্রাম)।

২) অশ্বগন্ধা ক্যাপসুল : প্রায় ৩০০ থেকে ৫০০ মিলিগ্রাম, প্রতিদিন এক থেকে সর্বোচ্চ দুইবার নেওয়া যেতে পারে ।

কম ডোজ দিয়ে শুরু করা এবং ধীরে ধীরে এটির ডোজের মাত্রা বৃদ্ধি করা অপরিহার্য । কারণ, আপনার শরীর এটিকে গ্রহণের পরে কিভাবে প্রতিক্রিয়া জানায় সেদিকে মনোযোগ দেওয়া দরকার । আর যেকোন নতুন সম্পূরক শুরু করার আগে সর্বদা একজন স্বাস্থ্যসেবা পেশাদারের সাথে বা একজন পেশাদার ডায়েটেশিয়ানের সাথে পরামর্শ করে নেওয়া উচিত, বিশেষ করে যদি আপনার কোন বিশেষ স্বাস্থ্য অবস্থা উপস্থিত থাকে অথবা আপনি গর্ভবতী বা শিশুকে স্তন্যপান করান ।

খাদ্য-পরিপূরক হিসাবে অশ্বগন্ধা

খাদ্য পরিপূরক হিসাবে অশ্বগন্ধা বিভিন্ন রূপে পাওয়া যেতে পারে, যাদের মধ্যে রয়েছে :

১) অশ্বগন্ধা চূর্ণ বা পাউডার : অশ্বগন্ধার এই ফর্মটি ঐতিহ্যগতভাবে বিখ্যাত, এবং ডোজের পরিবর্তনের জন্যে সুবিধাজনক । এটিকে জল, দুধ বা স্মদির সাথে মিশিয়ে গ্রহণ করা যেতে পারে ।

২) অশ্বগন্ধা ক্যাপসুল : বর্তমান দিনে এটি একটি জনপ্রিয় বিকল্প হয়ে উঠেছে । আসলে যারা দ্রুত এবং সহজে সেবনের বিকল্প খোজেন, এটি তাদের জন্যে অত্যন্ত সুবিধাজনক ।

৩) অশ্বগন্ধা টিংচার : এটি অশ্বগন্ধার তরল নির্যাস, যা সরাসরি গ্রহণ করা যেতে পারে বা কোন পানীয়ের সঙ্গে মিশিয়ে গ্রহণ করা যেতে পারে ।

একটি অশ্বগন্ধা সম্পূরক বেছে নেওয়ার সময়, তার ক্ষমতা এবং বিশুদ্ধতা সম্পর্কে নিশ্চিত হয়ে নেবেন । কোন পণ্য বেছে নেওয়ার আগে বোতলের গায়ের লেবেল দেখে নিন । পণ্যটির গুণমান যাচাই করার জন্যে তৃতীয় পক্ষের পরীক্ষা এবং সার্টিফিকেট গুলি দেখে কিনুন । দাম নয়, ডিসকাউন্ট নয়, গুণমান প্রথম লক্ষ্য-মানসিকতা নিয়ে যাচাই করুন ।

অশ্বগন্ধার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া 

যদিও অশ্বগন্ধা সাধারণত বেশিরভাগ মানুষের জন্য নিরাপদ বলেই জানা যায়, তবে  কিছু ব্যক্তির ক্ষেত্রে এটি পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করতেও পারে । এটি গ্রহণের ফলে সাধারণ কিছু পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা যেতে পারে, যেমন –

১) গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল সমস্যা : বমি বমি ভাব, ডায়রিয়া বা পেট খারাপ হতে পারে, কারো কারো ক্ষেত্রে উচ্চ মাত্রায় ।

২) তন্দ্রাভাব বা ঝিমুনী : এর নার্ভাস সিস্টেমের উপর প্রভাবের কারণে, ব্যবহারকারীদের মধ্যে কিছু ব্যক্তির ক্ষেত্রে তন্দ্রাভাবের বা ঝিমুনীর প্রতিক্রিয়া দেখাতে পারে ।

৩) অ্যালার্জির প্রতিক্রিয়া : সংখ্যায় অত্যন্ত কম কিন্তু কিছু ব্যক্তির ক্ষেত্রে এটি অ্যালার্জির প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে যার মধ্যে ফুসকুড়ি, চুলকানি বা শ্বাস নিতে পারার অসুবিধা ইত্যাদি হতে পারে ।

অশ্বগন্ধা গ্রহণের জন্যে সতর্কতা 

মনে রাখতে হবে, এটি কোন ফলের রস বা কোন সাধারণ পরিপূরক নয় । এর শক্তিশালী ভেষজ প্রতিক্রিয়ার জন্যে এটিকে আয়ুর্বেদিক হিসাবে প্রাচীনকালে বা বর্তমানে এটিকে ব্যবহার করা হয়ে থাকে । তাই এটি গ্রহণের পূর্বে বিশেষ কিছু পরিস্থিতির দিকে অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে ।

১) গর্ভবতী এবং স্তন্যপান করানো মহিলা : অশ্বগন্ধা গর্ভবতী মহিলাদের জন্য নিরাপদ নাও হতে পারে, কারণ এটির মধ্যে জরায়ুর সংকোচনকে উদ্দীপিত করতে পারার ক্ষমতা দেখতে পাওয়া যায় । তাই গর্ভাবস্থায় জটিলতা না বাড়ানোর জন্যে এটির ব্যবহার না করাই ভালো, যদি একান্তই ব্যবহার করতে হয়, তাহলে অবশ্যই ব্যবহারের আগে কোন  স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারীর সাথে পরামর্শ করে গ্রহণ করা নিরাপদ হবে ।

২) থাইরয়েডের সমস্যায় : যাদের থাইরয়েডের সমস্যা আছে বা তার জন্যে ওষুধ সেবন করছেন, তাদের ক্ষেত্রে এটি গ্রহণের আগে বিশেষ সতর্ক হওয়া উচিত, কারণ হরমোনের উপরে এর বিশেষ প্রভাব বিস্তারকারী গুণের জন্যে অশ্বগন্ধা থাইরয়েড হরমোনের মাত্রা বাড়িয়েও দিতে পারে ।

৩) অটোইমিউন ডিজিজ : অটোইমিউন রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে অশ্বগন্ধা ব্যবহার করার আগে কোন স্বাস্থ্যসেবা পেশাদারের সাথে পরামর্শ করা উচিত, কারণ এটি ইমিউন সিস্টেমকে উদ্দীপিত করতে পারে ।

৪) ওষুধের সঙ্গে প্রতিক্রিয়া : অশ্বগন্ধা বেশ কিছু ওষুধের সাথে যোগাযোগ করতে পারে, যার মধ্যে থাইরয়েড রোগের জন্য উপশমকারী এবং অন্যান্য বেশ কিছু ওষুধ রয়েছে । আপনি যদি আপনার বিশেষ কোন সমস্যার জন্যে ওষুধ ওষুধ গ্রহণ করেন, তাহলে অবশ্যই কোন পেশাদার স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারী বা কোন পেশাদার ডায়েটেশিয়ানের সাথে পরামর্শ করে তার পরামর্শ অনুযায়ী এটি গ্রহণ করার কথা ভাবা উচিত ।

৫) উচ্চ রক্তচাপ বা হার্টের সমস্যায় : অশ্বগন্ধার মধ্যে শক্তি বর্ধক গুণের জন্যে এটি উচ্চ রক্তচাপ বা হার্টের সমস্যায় ভুগছেন তাদের ক্ষেত্রে এটি গ্রহণের ফলে সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে । তাই এই ধরনের কোন সমস্যা থাকলে বা তার জন্যে ওষুধ সেবন করলে অবশ্যই কোন পেশাদার স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারী বা কোন পেশাদার ডায়েটেশিয়ানের সাথে পরামর্শ করে তার পরামর্শ অনুযায়ী এটি গ্রহণ করার কথা ভাবা উচিত ।

অশ্বগন্ধা একটি বহুমুখী ভেষজ যা পুরুষ ও মহিলা উভয়ের স্বাস্থ্যের জন্যই ব্যাপক প্রভাব বিস্তারকারী । শারীরিক কর্মক্ষমতা এবং হরমোনের ভারসাম্য বাড়ানো থেকে শুরু করে স্ট্রেস এবং উদ্বেগ কমানোর ক্ষেত্রে, এই প্রাচীন ঐতিহ্যবাহী ভেষজটি তার অ্যাডাপ্টোজেনিক বৈশিষ্ট্য নিয়ে এই অত্যাধুনিক দিনেও তার প্রাকৃতিক সুস্থতার ক্ষমতার জন্যে তার গুরুত্ব এবং প্রভাব প্রমাণ করে চলেছে । তবে যেকোনো গুরুত্বপূর্ণ সম্পূরকের মতোই, এটিকে মননশীলভাবে ব্যবহার করা এবং ডোজ এবং ফর্মটি আপনার ব্যক্তিগত প্রয়োজন অনুসারে স্থির করার জন্য একজন স্বাস্থ্যসেবা পেশাদারের সাথে বা কোন পেশাদার ডায়েটেশিয়ানের সাথে পরামর্শ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ।

যেকোন সম্পূরক ব্যবহারের ক্ষেত্রেই তার সম্পর্কে সচেতনতা, তার ভালো এবং খারাপ দিকগুলো সম্পর্কে জানা উচিত । আমাদের এই ব্লগ পোস্টের উদ্দেশ্যই হলো খাদ্য, খাদ্য-পরিপূরক এবং স্বাস্থ্যের সেইসব দিকগুলো সম্পর্কে আলোচনা করে সেই সচেতনতার দিকগুলো তুলে ধরা । যদি এই ব্লগ পোস্টে দেওয়া তথ্য এবং লেখনী আপনার ভালো লেগে থাকে এবং কার্যকরী বলে মনে হয়, তাহলে অন্যদের শেয়ার করার অনুরোধ রইলো ।


একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ