সারা বিশ্বে বর্তমানে ফ্যাটি লিভার
ডিজিজ প্রায় ক্রমবর্ধমান হারে বেড়ে চলেছে । বেশিরভাগ
ক্ষেত্রেই এই সমস্যাটি মূলত: জীবনযাত্রা এবং খাদ্যাভ্যাস সম্পর্কিত । তাই যখন
বর্তমান সময়ে জীবনযাত্রা সম্পর্কিত স্বাস্থ্য সমস্যাগুলিতে মানুষ আরো বেশি করে
আক্রান্ত হচ্ছে এবং লড়াই করছে সেগুলির বিরুদ্ধে, তখন এই ধরনের সমস্যাগুলিকে
প্রতিরোধ করা এবং নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্যে সমস্যাগুলিকে বোঝা ও সেগুলি সম্পর্কে
সচেতন হওয়া খুবই জরুরী হয়ে পড়েছে । আর তাই এই ব্লগ পোস্টে আমরা ফ্যাটি লিভার ডিজিজ
কি, ফ্যাটি লিভার ডিজিজের কারণ এবং তার লক্ষণগুলি, ফ্যাটি লিভার ডিজিজের বিভিন্ন
গ্রেড, ফ্যাটি লিভার রোগের ঝুঁকি, ফ্যাটি লিভার রোগের চিকিৎসা এবং ফ্যাটি লিভার
ডিজিজের কিছু ঘরোয়া প্রতিকার নিয়ে আলোচনা করবো ।
ফ্যাটি লিভার ডিজিজ কি
ফ্যাটি লিভার ডিজিজ, যা ডাক্তারি
ভাষায় হেপাটিক স্টেটোসিস
নামে পরিচিত, যখন
লিভারের কোষে অতিরিক্ত
ফ্যাট জমে থাকে, তখনকার সেই
অবস্থাকে বোঝাতে এটি বলা হয় । এই অবস্থায়
সাধারণ ফ্যাট তৈরি (নন-অ্যালকোহলিক
ফ্যাটি লিভার ডিজিজ
বা
NAFLD) থেকে আরও গুরুতর অবস্থা (নন-অ্যালকোহল
স্টিটোহেপাটাইটিস বা
NASH) এবং লিভারের মারাত্মক ক্ষতি পর্যন্ত
হতে পারে । যদিও
ফ্যাটি লিভার রোগ
যেকোন কাউকেই প্রভাবিত
করতে পারে, তবুও এটি যাদের মধ্যে স্থূলতা, ডায়াবেটিস
এবং বিপাকীয় সিন্ড্রোমযুক্ত সমস্যাগুলি আছে তাদের মধ্যে বিশেষভাবে দেখা যায় ।
ফ্যাটি লিভার রোগের কারণ
বেশ কয়েকটি কারণ
ফ্যাটি লিভার রোগের
বিকাশের কারণ হয়ে উঠতে পারে । নীচে সেগুলি সংক্ষেপে আলোচনা
করা হলো -
১) স্থূলতা : শরীরের
অতিরিক্ত ওজন ফ্যাটি লিভার ডিজিজের একটি উল্লেখযোগ্য ঝুঁকির
কারণ । কারণ প্রায়শ:ই এটিকে লিভারে চর্বি
জমার প্রবণতার দিকে নিয়ে যেতে দেখা
গেছে ।
২) ডায়াবেটিস : শরীরে ইনসুলিনের প্রতিরোধ এবং
রক্তে উচ্চ শর্করার মাত্রা
লিভারে চর্বি তৈরি
করার ঝুকির দিকে নিয়ে যায় ।
৩) অ্যালকোহল সেবন : দীর্ঘ সময় ধরে অ্যালকোহল সেবন বা অতিরিক্ত মদ্যপানের ফলস্বরূপ
অ্যালকোহলযুক্ত ফ্যাটি লিভারের
রোগ তৈরী করতে পারে ।
৪) উচ্চ কোলেস্টেরলের মাত্রা : শরীরে ট্রাইগ্লিসারাইডের উচ্চ
মাত্রা লিভারে চর্বি
জমাতে সাহায্য করে বা ফ্যাটি লিভার ডিজিজের কারণ হয়ে উঠতে
পারে ।
৫) খারাপ ডায়েট : উচ্চ
চিনিযুক্ত খাবার, অপরিশোধিত কার্বোহাইড্রেট এবং অস্বাস্থ্যকর
চর্বিযুক্ত খাবার খাওয়ার অভ্যাস ফ্যাটি লিভারের ঝুঁকি
বাড়াতে পারে ।
৬) খারাপ জীবনধারা : শারীরিক
কার্যকলাপের অভাব, শরীরের অতিরিক্ত ওজন
বৃদ্ধি, খারাপ খাদ্যাভ্যাস বিপাকীয়
সমস্যাগুলিকে বাড়িয়ে তুলতে
পারে । যার ফলস্বরূপ ফ্যাটি লিভার ডিজিজের সম্ভাবনা
বাড়তে পারে ।
ফ্যাটি লিভার রোগের লক্ষণ
একেবারে প্রাথমিক পর্যায়ে,
ফ্যাটি লিভার রোগের
সেইরকম কোনো লক্ষণ দেখা যায় না । অবস্থার অবনতির সাথে সাথে
এই সমস্যার কিছু সাধারণ
উপসর্গ লক্ষ্য করা যায় । যেমন -
(ক)
ক্লান্তি বোধ করা
(খ)
পেটে অস্বস্তি বা
ব্যথা
(গ)
হঠাৎ করে ওজন হ্রাস
(ঘ)
খিদে কমে যাওয়া
(ঙ)
দুর্বলতা বোধ করা
(চ)
বমি বমি ভাব অনুভব করা
যদি চিকিৎসা বা প্রতিরোধের চেষ্টা না করা হয়,
ফ্যাটি লিভার রোগ
লিভার ফাইব্রোসিস, সিরোসিস
এবং লিভার ফেলিওর সহ
আরও গুরুতর সমস্যার দিকে নিয়ে যায় ।
ফ্যাটি লিভারের বিভিন্ন গ্রেড বা পর্যায়
ফ্যাটি লিভারের সমস্যাকে ফ্যাট জমার
তীব্রতার উপর ভিত্তি
করে মূলত: তিনটি বিভিন্ন গ্রেডে
শ্রেণীবদ্ধ করা হয় ।
ক) গ্রেড ১
(Mild Fatty Liver) : এই
পর্যায়ে, লিভারে অল্প
পরিমাণে ফ্যাট থাকে এবং সাধারণত: কোন
উল্লেখযোগ্য লক্ষণ বা
জটিলতা দেখা যায় না । জীবনধারার পরিবর্তন,
যেমন-খাদ্য এবং খাদ্যাভ্যাসের পরিবর্তন, ব্যায়াম ইত্যাদির
অভ্যাস এই
অবস্থাকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে ।
খ) গ্রেড ২
(Medium Fatty Liver) : এই পর্যায়ে লিভারে বেশ
লক্ষ্য করার মতো ফ্যাট জমে
এবং বেশ কিছু লক্ষণ
দেখা দিতে পারে । এই
পর্যায়ে, পেশাদার পরামর্শদাতার
পরামর্শ অনুযায়ী জীবনধারার গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তনের সাথে সাথে চিকিৎসার প্রয়োজন ।
গ) গ্রেড ৩
(Severe Fatty Liver) : এই পর্যায়ে
লিভারে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে ফ্যাট এবং প্রদাহ লক্ষ্য করা যায় । এটি লিভারের
গুরুত্বপূর্ণ ক্ষতির সম্ভাবনা তৈরি করে, সুতরাং অপরিহার্যভাবে চিকিৎসার প্রয়োজন ।
ফ্যাটি লিভার রোগের ঝুঁকি
সঠিক সময়ে শনাক্ত করা এবং চিকিৎসা
বা নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা না করলে ফ্যাটি লিভার
ডিজিজের জন্যে মারাত্মক ঝুঁকি তৈরী হতে পারে । লিভারের প্রদাহ, ঘা বা দাগ
এবং ফাইব্রোসিস হতে
পারে । লিভার সিরোসিস বা লিভার ক্যান্সার হতে পারে, যেগুলির
মধ্যে দিয়ে প্রাণহানির সম্ভাবনা অবধি তৈরী হতে পারে । ফ্যাটি লিভারের সমস্যার
উপসর্গ হিসাবে আক্রান্ত ব্যক্তির মধ্যে হৃদরোগ বা স্ট্রোকের ঝুকির সম্ভাবনা বেড়ে
যায় ।
ফ্যাটি লিভারের চিকিৎসা
ফ্যাটি লিভার ডিজিজের প্রাথমিক চিকিৎসা শুরু হয় জীবনধারা পরিবর্তন এবং খাদ্যাভ্যাসের মধ্যে
দিয়ে ।
১) ওজন কমানো : একটি
সুষম খাদ্য গ্রহণ এবং
নিয়মিত ব্যায়ামের মাধ্যমে
ধীরে ধীরে অতিরিক্ত ওজন কমানো এবং ওজন বজায় রাখা লিভারের ফ্যাট কমাতে খুবই কার্যকর উপায়
।
২) স্বাস্থ্যকর
ডায়েট : টাটকা ফল, শাকসবজি,
গোটা শস্য এবং
স্বাস্থ্যকর ফ্যাটযুক্ত খাবার গ্রহণ এবং
অতিরিক্ত চিনিযুক্ত এবং
প্রক্রিয়াজাত খাবার এড়িয়ে
চললে, তা লিভারের
স্বাস্থ্যের উন্নতি করতে
সাহায্য করে ।
৩) ব্যায়াম : নিয়মিত
শারীরিক ক্রিয়াকলাপ বিপাকীয়
স্বাস্থ্যকে উন্নত করতে
পারে এবং ওজন
হ্রাস করতে পারে।
৪) নিয়মিত
মনিটরিং : কোন স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারীর
সাথে যোগাযোগ করে নিয়মিত
চেক-আপ
করে লিভারের কার্যকারিতা নিরীক্ষণ এবং
সম্ভাব্য জটিলতাগুলিকে নিয়ন্ত্রণ
ও প্রতিরোধের মাধ্যমে ফ্যাটি লিভারের বৃদ্ধি রোধে সহায়ক হতে পারে ।
৫) ওষুধ : ফ্যাটি লিভার ডিজিজের
সমস্যার চিকিৎসার সময়ে ডায়াবেটিস বা উচ্চ কোলেস্টেরলের মতো অন্তর্নিহিত
অবস্থা বিবেচনা করে ওষুধগুলি নির্ধারিত হতে পারে । সুতরাং কোন পেশাদার ডাক্তার বা
পেশাদার স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারীর পরামর্শ ছাড়া কোন ধরনের ওষুধ গ্রহণ উচিত নয় ।
ফ্যাটি লিভারের কিছু প্রাকৃতিক প্রতিকার
ফ্যাটি লিভার ডিজিজ
একটি ক্রমবর্ধমান উদ্বেগ,
কিন্তু কিছু প্রাকৃতিক
প্রতিকার অন্তর্ভুক্ত করা
লিভারের স্বাস্থ্যকে সমর্থন
করতে এবং চর্বি
জমা কমাতে সাহায্য
করতে পারে। আসুন
জেনে নেওয়া যাক
কীভাবে আমলা জুস,
অ্যালোভেরার জুস, মরিন্দা
সিট্রিফোলিয়া, মরিঙ্গা এবং
স্পিরুলিনা ফ্যাটি লিভারের
রোগ নিয়ন্ত্রণে অবদান
রাখতে পারে।
১) আমলা জুস ব্যবহারের সুবিধা
(ক) অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট : আমলা বা ভারতীয় গুজবেরি, ভিটামিন সি এবং অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টে পরিপূর্ণ, যা লিভারে অক্সিডেটিভ স্ট্রেসের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সহায়তা করে ।
(খ) অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি উপাদান : এই উপাদানগুলি প্রদাহ
কমায়, লিভারের সম্ভাব্য ক্ষতির ঝুকি কমায়।
(গ) বিপাকীয় ব্যবস্থার উন্নতি ঘটায় : আমলা ফ্যাট বিপাক বাড়াতে
পারে এবং লিভারে ফ্যাটের জমা কমাতে সাহায্য
করে।
২) অ্যালোভেরার জুস ব্যবহারের সুবিধা
(ক) ডিটক্সিফিকেশন : অ্যালোভেরা
শরীর থেকে টক্সিন
বের করে দিতে
সাহায্য করে, সামগ্রিক
লিভার ফাংশনকে বাড়িয়ে তোলে ।
(খ) অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি উপাদান : এতে এমন কিছু অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি যৌগ রয়েছে যা লিভারের প্রদাহ কমাতে পারে।
(গ) হজমের সহায়তা : হজমের উন্নতি ঘটিয়ে এবং পুষ্টি-্উপাদানগুলির শোষণ ক্ষমতা
বাড়িয়ে তুলে লিভারের উপর থেকে চাপের বোঝা কমাতে পারে।
৩) মরিন্দা সিট্রিফোলিয়া (ননী) ব্যবহারের সুবিধা
(ক) অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট : ননী জুস তার উচ্চ
অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট উপাদানের জন্য পরিচিত, যারা
লিভারের কোষগুলিকে ক্ষতির
হাত থেকে রক্ষা
করতে পারে।
(খ) অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি উপাদান : ননীর মধ্যে থাকা অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি উপাদান প্রদাহ কমাতে এবং লিভারের কোষগুলির পুনর্জন্মের প্রক্রিয়াকে উন্নীত করতে সাহায্য করতে পারে।
(গ) বিপাকীয় ব্যবস্থার উন্নতি ঘটায় : ননী বিপাকীয় ব্যবস্থার উন্নতি ঘটানোর মাধ্যমে রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে এবং লিপিড প্রোফাইল উন্নত করতে সাহায্য করতে পারে এবং লিভারে চর্বি জমা কমাতে পারে।
৪) মরিঙ্গা ব্যবহারের সুবিধা
(ক) পুষ্টি-উপাদানে ভরপুর : মরিঙ্গা
পাতায় প্রচুর পরিমাণে
ভিটামিন, খনিজ এবং
অ্যামিনো অ্যাসিড রয়েছে
যা লিভারের স্বাস্থ্যকে
সমর্থন করে।
(খ) অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট : মরিঙ্গায় অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট যৌগ রয়েছে যা লিভারে স্ট্রেস এবং প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে।
(গ) লিভারের সুরক্ষা : কিছু গবেষণায় বলা হয়েছে যে মরিঙ্গা লিভারের ক্ষতি প্রতিরোধ করতে এবং ডিটক্সিফিকেশন প্রক্রিয়াকে সমর্থন করতে পারে।
৫) স্পিরুলিনা ব্যবহারের সুবিধা
(ক) পুষ্টি-্উপাদানে ভরপুর : স্পিরুলিনা হল একটি পুষ্টিকর-ঘন শ্যাওলা বিশেষ, যা প্রচুর অপরিহার্য ফ্যাটি অ্যাসিড, ভিটামিন এবং খনিজ সরবরাহ করতে সক্ষম ।
(খ) ডি-টক্সিফিকেশন : এটি
লিভারের ডিটক্সিফিকেশন প্রক্রিয়াকে
সমর্থন করে এবং
চর্বি জমা কমাতে
সাহায্য করে।
(গ) অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি উপাদান : স্পিরুলিনায় প্রচুর অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি উপাদান থাকে, যারা লিভারের কোষকে ক্ষতি থেকে রক্ষা করতে পারে ।
যদিও এই প্রাকৃতিক প্রতিকারগুলি লিভারের স্বাস্থ্যকে বাড়াতে সক্ষম এবং ফ্যাটি লিভারকে নিয়ন্ত্রণে রাখার যথেষ্ট শক্তি রাখে । তবুও দৈনিক খাদ্যাভ্যাসের সঙ্গে এগুলিকে যোগ করার আগে কোন একজন স্বাস্থ্যসেবা পেশাদারের সাথে পরামর্শ করে নেওয়া উচিত । কারণ এই সমস্ত প্রতিকারগুলি আপনার কোন বিশেষ স্বাস্থ্য-পরিস্থিতি থাকলে সেটি যাচাই করে কোনটি উপযুক্ত হবে তা যাচাই করতে হবে এবং সবচেয়ে ভালো ফল লাভের জন্যে ডোজ নিশ্চিত করতে হবে । সর্বোপরি কোন প্রাথমিক প্রতিক্রিয়া দেখা দিলে পরিস্থিতি অনুযায়ী ডোজের পরিবর্তন করতে হবে ।
মনে রাখা দরকার, ফ্যাটি লিভার ডিজিজ স্বাস্থ্যজনিত একটি গুরুতর সমস্যা, যার জন্য মনোযোগ এবং ব্যবস্থাপনা প্রয়োজন । প্রাথমিক পদক্ষেপের জন্যে এর কারণ, লক্ষণ এবং সম্ভাব্য ঝুঁকি বোঝা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ । জীবনধারা পরিবর্তন করে এবং ভেষজ পরিপূরক বিবেচনা করে, কোন ব্যক্তি তার লিভারের জন্য সক্রিয় পদক্ষেপ নিতে পারে । যদি কোনরকমভাবে আপনার মনে সন্দেহ হয় যে আপনার ফ্যাটি লিভারজনিত সমস্যা আছে, তাহলে দেরী না করে উপযোগী চিকিৎসা বিকল্প বেছে নেওয়ার জন্য একজন স্বাস্থ্যসেবা পেশাদারের সাথে পরামর্শ করুন । সঠিক পদ্ধতির সাথে, এই সমস্যাটিকে নিয়ন্ত্রণ এবং প্রতিরোধ করা সম্ভব, যা কোন মানুষকে একটি স্বাস্থ্যকর এবং সুখী জীবনের দিকে নিয়ে যেতে পারে ।
0 মন্তব্যসমূহ