ডায়াবেটিস, যাকে প্রায়শ:ই “নি:শব্দ ঘাতক” বলা হয়ে থাকে । ডায়াবেটিস সেই অর্থে কোন রোগ নয়, কারণ এটি কোন ভাইরাস বা ব্যাকটেরিয়া বা অন্য কোন প্যাথোজেনের দ্বারা সংক্রমিত হয়ে হয় না, এটি মানুষের একটি দীর্ঘস্থায়ী অবস্থা, যা বর্তমানে সারা বিশ্বের লক্ষ লক্ষ মানুষকে প্রভাবিত করে তুলেছে । এটি শরীরের মধ্যে ধীরে ধীরে অগ্রসর হতে থাকে এবং মানুষের শরীরকে বিভিন্ন গুরুতর জটিলতার দিকে নিয়ে যেতে থাকে । এমনকি মানুষ যখন জানতে পারে যে সে এই সমস্যার শিকার, তখন ডায়াবেটিস অনেকটাই তার শরীরকে কাবু করে ফেলেছে এবং মানুষ তখন বাধ্য হয়ে সারা জীবনের মতো শরণার্থী হয়ে পড়ে বিভিন্ন অ্যালোপ্যাথি ওষুধের কাছে । সচেতনতা হল শক্তি এবং ডায়াবেটিসের সাথে সম্পর্কিত ঝুঁকিগুলি সম্পর্কে সচেতনতা আমাদের স্বাস্থ্যকর ভবিষ্যতের দিকে পদক্ষেপ নিতে সাহায্য করতে পারে । তাই এই ব্লগ পোস্টে আমরা বর্তমান দিনে ডায়াবেটিসের বিশ্বব্যাপী প্রভাব সম্পর্কে কিছু তথ্য আমরা জেনে নেবো । তার সঙ্গে জানবার চেষ্টা করবো - ডায়াবেটিস কি, এটি কিভাবে হয়, ডায়াবেটিসের প্রকারভেদ, কিভাবে এটিকে মাপা হয়ে থাকে, কি কি অভ্যাসের পরিবর্তনের ফলে এবং কি কি ঘরোয়া পদ্ধতিতে আমরা ডায়াবেটিসকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারি বা এর থেকে নিজেদের দূরে রাখতে পারি ।
ডায়াবেটিস সম্পর্কে বিশ্বব্যাপী কিছু ভয়ঙ্কর পরিসংখ্যান
ইন্টারন্যাশনাল ডায়াবেটিস ফেডারেশন (IDF) এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (WHO) তথ্য অনুযায়ী সারা বিশ্ব জুড়ে ডায়াবেটিস নিয়ে খুবই উদ্বেগজনক পরিস্থিতি দেখা যাচ্ছে । যেগুলোর মধ্যে কিছু এখানে সংক্ষেপে তুলে ধরা হলো :-
- ২০২১ সালে সারা বিশ্ব জুড়ে প্রায় ৫৩৭ মিলিয়ন প্রাপ্তবয়স্ক (২০-৭৯ বছর বয়সী) মানুষ ডায়াবেটিসে ভুগছিলেন এবং পরিসংখ্যান অনুযায়ী এই সংখ্যাটি আগামী ২০৪৫ সাল অবধি প্রায় ৭৮৩ মিলিয়নে পৌঁছাবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে ।
- সারা বিশ্বের জনসংখ্যার প্রতি ১০ জনের মধ্যে ১ জনের ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ।
- ২০২১ সালে প্রায় ৬.৭ মিলিয়ন মানুষের মৃত্যুর জন্যে ডায়াবেটিসকে কারণ হিসাবে দেখা গিয়েছিল, যা এটিকে বিশ্বব্যাপী মৃত্যুর কারণগুলির মধ্যে অন্যতম প্রধান কারণ হিসাবে তুলে ধরেছে ।
- সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে যে, ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ৮০% য়েরও বেশি মানুষ নিম্ন এবং মধ্যম আয়ের দেশগুলিতে বসবাস করে, যা অত্যন্ত চিন্তার কারণ ।
ডায়াবেটিস কি
ডায়াবেটিসকে শরীরের এমন একটি অবস্থা বলা যেতে পারে, যে অবস্থায় শরীরের নিজস্ব গ্লুকোজের (শর্করা) মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষমতা নষ্ট হয়ে গেছে বা নষ্ট হওয়ার পথে রয়েছে । এটি ঘটার প্রধান কারণ হলো, নয় শরীর পর্যাপ্ত পরিমাণে ইনসুলিন হরমোন তৈরী করতে পারছে না, নয়তো ইনসুলিন হরমোন একদমই তৈরী করতে পারছে না । আসলে ইনসুলিন হলো সেই হরমোন, যা গ্লুকোজকে কোষে প্রবেশ করতে সাহায্য করে এবং কোষ সেই গ্লুকোজকে ব্যবহার করে শক্তি উৎপন্ন করে । যেহেতু ইনসুলিনের অভাবে গ্লুকোজ কোষে প্রবেশ করতে পারে না, ফলস্বরুপ রক্তপ্রবাহে গ্লুকোজের অণুগুলি ঘুরে বেড়ায় এবং রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়িয়ে তোলে (হাইপারগ্লাইসেমিয়া), যা ধীরে ধীরে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে শরীরের বিভিন্ন অঙ্গের ক্ষতি করতে পারে ।
ডায়াবেটিস কিভাবে হয়
সাধারণভাবে বলা যেতে পারে
যে, শরীরের ইনসুলিন উৎপাদন এবং ইনসুলিনের ক্রিয়া সম্পর্কিত সমস্যার কারণে শরীরে ডায়াবেটিসের
শুরু হয় ।
১) ইনসুলিনের ঘাটতি : বেশীরভাগ
ক্ষেত্রে শরীরের অগ্ন্যাশয় কোন সমস্যাজনিত করণে পর্যাপ্ত ইনসুলিন উৎপাদন করে না ।
২) ইনসুলিনের প্রতিরোধ :
কিছু ক্ষেত্রে. শরীরের কোষগুলি ইনসুলিনের প্রতি সঠিকভাবে সাড়া দেয় না । এই
ক্ষেত্রে শরীর পর্যাপ্ত পরিমাণে ইনসুলিন উৎপাদন করলেও কোষগুলি এর সঙ্গে সাড়া দেয়
না ।
আসলে খারাপ খাদ্যাভ্যাসের ফল, শারীরিক কার্যকলাপের অভাব, স্থূলতা বা ওবেসিটি, জিনঘটিত কারণ, বয়স এবং মানসিক চাপ বা দুশ্চিন্তার মতো বেশ কিছু কারণ শরীরে ডায়াবেটিসের সৃষ্টির কারণ হিসাবে দেখা যায় । মূলত: জীবনযাত্রার ত্রুটির কারণে এটিকে শরীরে বিকাশ হতে দেখা গেছে ।
ডায়াবেটিসের প্রকারভেদ
মূলত: তিনটি প্রধান ধরনের ডায়াবেটিস দেখতে পাওয়া যায় । নীচে
এদের সম্পর্কে অতি সংক্ষেপে আলোচনা করা হলো :-
১) টাইপ ১ ডায়াবেটিস : এই
ধরনের ডায়াবেটিসকে একটি অটোইমিউন অবস্থা হিসাবে বিবরণ দেওয়া যেতে পারে । এই
অবস্থায় শরীরের ইমিউন সিস্টেম অগ্ন্যাশয়ের ইনসুলিন উৎপাদনকারী কোষগুলিকে আক্রমণ
করে এবং ধ্বংস করে দেয় । সাধারণত: এই সমস্যাটি শৈশব বা বয়:সন্ধিকালে শুরু হয়, তবে
নির্দিষ্ট করে বলা যেতে পারে না, যেকোন বয়সেই এটি ঘটতে পারে । টাইপ ১ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত
ব্যক্তিদের জীবন ধারণের জন্যে ইনসুলিন ইন্জেকশনের প্রয়োজন হয় ।
২) টাইপ ২ ডায়াবেটিস : এই
ডায়াবেটিস হলো ডায়াবেটিসের সবচেয়ে সাধারণ রূপ এবং সমস্ত ডায়াবেটিসের রোগীদের মধ্যে
প্রায় ৯০-৯৫% মানুষ এইধরনের ডায়াবেটিসে ভোগেন । সাধারণত: এটি প্রাপ্তবয়স্ক অবস্থায়
বিকশিত হয় । এই সমস্যাটি সাধারণত: স্থূলতা, শারীরিক নিষ্ক্রিয়তা এবং খারাপ
খাদ্যাভ্যাসের ফল হিসাবে দেখা দেয় । যখন এই সমস্ত কারণে অগ্ন্যাশয় শরীরের চাহিদা
অনুযায়ী পর্যাপ্ত ইনসুলিন উৎপাদন করতে পারে না, তখন টাইপ ২ ডায়াবেটিস দেখা দেয় ।
৩) গর্ভকালীন ডায়াবেটিস : এই ধরনের ডায়াবেটিস মূলত: মহিলাদের গর্ভাবস্থায় ঘটতে দেখা যায় । আসলে গর্ভাবস্থায় শরীরের হরমোনের পরিবর্তনের কারণ ইনসুলিন প্রতিরোধের কারণ হয়ে দাঁড়ায় । বেশিরভাগ ক্ষেত্রে শিশুর জন্মের পরে এই সমস্যার লক্ষণগুলি চলে যায়, কিন্তু বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এইসব ক্ষেত্রে টাইপ ২ ডায়াবেটিস হওয়ার প্রবণতা হিসাবে দেখা গেছে ।
ডায়াবেটিসের পরিমাপ
ডায়াবেটিসকে নিয়ন্ত্রণে
রাখার জন্যে রক্তে শর্করার মাত্রা পরমাপ করা এবং তার পর্যবেক্ষণ করা অত্যন্ত
গুরুত্বপূর্ণ একটি কাজ । ডায়াবেটিসের সমস্যা নির্ণয় এবং পর্যবেক্ষণ করার জন্যে
নিম্নলিখিত পরীক্ষাগুলির সাহায্য নেওয়া হয় :-
১) ফাস্টিং ব্লাড সুগার (FBS) : এই
পরীক্ষায় সারা রাত উপবাসের পরে রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা পরিমাপ করা হয় । পরীক্ষায় 126 mg/dL বা তার বেশি পরিমাণ রক্তে শর্করার মাত্রা ডায়াবেটিসের সমস্যার ইঙ্গিত হিসাবে
ধরা হয় ।
২)
র্যান্ডম ব্লাড সুগার (RBS) : দিনের যেকোন সময়ে রক্ত
নেওয়া যেতে পারে এই পরীক্ষার জন্যে । পরীক্ষার ফল হিসাবে 200 mg/dL বা তার বেশি রিডিং ডায়াবেটিসের ইঙ্গিত দেয় ।
৩)
ওরাল গ্লুকোজ টলারেন্স টেস্ট (OGTT) : এই পরীক্ষায় গ্লুকোজ
সমৃদ্ধ দ্রবণ পান করার আগে এবং দুই ঘন্টা পরে রক্তে শর্করার মাত্রা পরিমাপ করা হয়
। পরীক্ষার ফল হিসাবে রক্তে শর্করার মাত্রা 200
mg/dL থাকলে তা ডায়াবেটিসের
সমস্যাকে ইঙ্গিত করে ।
৪) HbA1c টেস্ট : এই পরীক্ষায় রক্তে গত ২-৩ মাসের শর্করার গড় মাত্রা পরিমাপ করা হয় । HbA1c পরীক্ষায় ৬.৫% বা তার বেশি মাত্রাকে ডায়াবেটিসের ইঙ্গিত হিসাবে ধরা হয় ।
কিছু অভ্যাস যা ডায়াবেটিসের নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে
আমরা এখানে এমন কিছু
অভ্যাসের ব্যাপারে আলোচনা করবো, যেগুলি ডায়াবেটিসের প্রতিরোধ এবং ডায়াবেটিসের
নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে ।
১) স্বাস্থ্যকর খাওয়া :
গ্লাইসেমিক সুচক কম অর্থাৎ রক্তের শর্করার উপর যাদের প্রভাব অত্যন্ত মন্থর এবং
ধীর, সেইরকম খাবার বেছে নিন । প্রচুর পরিমাণে শাকসবজি, ফলমূল, গোটা শস্য,
চর্বিবিহীন প্রোটিন ইত্যাদি খাবার হিসাবে গ্রহণ করুন । প্রক্রিয়াজাত খাবার,
শর্করাযুক্ত স্ন্যাক্স এবং পানীয় যথাসম্ভব এড়িয়ে চলুন ।
২) নিয়মিত শারীরিক কার্যকলাপ
: দৈনিক শারীরিক কার্যকালপের দিকে খেয়াল রাখুন, কারণ শারীরিক কার্যকলাপ ইনসুলিন
সংবেদশীলতাকে উন্নত করে এবং শরীরকে দক্ষতার সাথে গ্লুকোজকে ব্যবহার করতে সাহায্য
করে । প্রতিদিন জোরে হাঁটা, সাতার কাটা, সাইকেল চালানো বা অ্যারোবিক্স ইত্যাদি
শারীরিক কার্যকলাপের অভ্যাস গড়ে তোলার চেষ্টা করুন ।
৩) ওজন বজায় রাখা : শরীরের
উচ্চতা অনুযায়ী ওজন বজায় রাখা একটি গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার এবং ডায়াবেটিসের প্রতিরোধ
ও নিয়ন্ত্রণে এটি একটি অত্যন্ত প্রয়োজনীয় দিক । পরিমিত ওজন হ্রাস (শরীরের ওজনের
৫-১০%)রক্তে শর্করার নিয়ন্ত্রণে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন এনে দেয় ।
৪) ধূমপান ত্যাগ করুন : ধূমপানের
ফল হিসাবে ডায়াবেটিস এবং ডায়াবেটিসের জটিলতার ঝুঁকি বাড়িয়ে তোলে । যেমন – ফুসফুসের
সমস্যা, হৃদরোগের সমস্যা এবং কিডনীর বিভিন্ন সমস্যা ।
৫) পর্যাপ্ত ঘুম : খারাপ
ঘুম বা প্রতিদিনের পর্যাপ্ত ঘুমের চেয়ে কম ঘুম, কিভাবে শরীর ইনসুলিন ব্যবহার করে তাকে
প্রভাবিত করতে পারে, যার ফল হিসাবে রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যায় । প্রত্যেক
প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের প্রতিদিন রাতে ৭-৯ ঘন্টা ঘুমের লক্ষ্য রাখা উচিত ।
৬) স্ট্রেস নিয়ন্ত্রণ : দীর্ঘস্থায়ী স্ট্রেস রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়াতে পারে । স্ট্রেস নিয়ন্ত্রণ করতে পারলে রক্তে শর্করার মাত্রাকেও নিয়ন্ত্রণ করা যেতে পারে । ধ্যান, যোগব্যয়াম, প্রাণায়াম ইত্যাদি চাপ কমাতে সাহায্য করে ।
ডায়াবেটিসের প্রতিরোধের
জন্যে কিছু ঘরোয়া প্রতিকার
জীবনধারার পরিবর্তনের সঙ্গে
সঙ্গে কিছু ঘরোয়া প্রতিকার রক্তে শর্করার মাত্রাকে নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে ।
১) করলা জুস : করলার জুস
রক্তে শর্করা কমানোর বৈশিষ্ট্যের জন্যে পরিচিত । করলা রসের জুস বা করলাকে খাবারে
রান্না করে খাওয়া যায় ।
২) দারুচিনি : সমীক্ষায়
দেখা গেছে যে, দারুচিনি ইনসুলিন সংবেদনশীলতাকে বাড়াতে পারে এবংরকে্তে শর্করার
মাত্রা বাড়াতে পারে । এটিকে চা, স্মুদিতে ব্যবহার করা যায় বা খাবারে ছিটিয়ে একে
ব্যবহার করা যেতে পারে ।
৩) মেথি : এই ধরনের বীজ
প্রচুর পরিমাণে ফাইবার সমৃদ্ধ । এটি কার্বোহাইড্রেট শোষণকে ধীর করতে সাহায্য করে
এবং রক্তে শর্করার মাত্রাকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে ।
৪) অ্যাপল সিডার ভিনিগার :
যেকোন ধরনের খাবার খাওয়ার আগে অল্প পরিমাণে অ্যাপল সিডার ভিনিগার পান করলে খাওয়ার
পরে রক্তে শর্করার বৃদ্ধি কমাতে পারে ।
৫) অ্যালো ভেরা : গবেষণায় এবং
বিভিন্ন পরীক্ষায় দেখা গেছে যে, অ্যালোভেরার জুস টাইপ ২ ডায়াবেটিস রোগীদের রক্তে
শর্করার মাত্রা কমাতে সাহায্য করে ।
৬) শারীরিক কার্যকলাপ : ঘরে
বা বাড়িতেই বিভিন্ন শারীরিক কসরৎ, যেমন – যোগব্যয়াম, স্ট্রেচিং, শরীরের ওজনের কমানোর
জন্যে স্কিপিং ইত্যাদি শারীরিক কার্যকলাপের মাধ্যমে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে
সাহায্য করতে পারে ।
ডায়াবেটিস বর্তমানে একটি
বিশ্বব্যাপী স্বাস্থ্য সঙ্কট এবং প্রায়শ:ই এটিকে নীরব ঘাতক হিসাবে উল্লেখ করা হয় ।
কারণ এর লক্ষণগুলি সুক্ষ্ম হতে পারে বা গুরুতর জটিলতা দেখা না হওয়া পর্যন্ত
অলক্ষিত হতে পারে । যাইহোক, প্রাথমিক সনাক্তকরণ, নিয়মিত পর্যবেক্ষণ এবং জীবনধারার পরিবর্তনের সাথে সাথে, ডায়াবেটিস কার্যকরভাবে নিয়ন্ত্রণ করা যেতে পারে । স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস, নিয়মিত ব্যায়াম করে, মানসিক চাপের নিয়ন্ত্রণ এবং প্রাকৃতিক প্রতিকারের মাধ্যমে আমরা ডায়াবেটিসের বিপদ থেকে নিজেদের রক্ষা করতে পারি এবং স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন করতে পারি। মনে রাখবেন, জ্ঞান হল শক্তি এবং ডায়াবেটিসের সাথে সম্পর্কিত ঝুঁকিগুলিকে বোঝা আমাদের স্বাস্থ্যকর ভবিষ্যতের দিকে সক্রিয় পদক্ষেপ নিতে সাহায্য করতে পারে ।
0 মন্তব্যসমূহ