Header Ads Widget

তরমুজের শীর্ষ স্বাস্থ্য উপকারিতা : গরমে এটি কেন খাবেন ?

 

তরমুজের শীর্ষ স্বাস্থ্য উপকারিতা : গরমে এটি কেন খাবেন

আসুন, আজ এই ব্লগ পোস্টে আমরা তরমুজের সম্পর্কে জানি তরমুজের পুষ্টিগুণ, তরমুজ খাওয়ার স্বাস্থ্য উপকারিতা বা গ্রীষ্মে তরমুজ খাওয়ার সুবিধা গুলি সম্পর্কে জানার চেষ্টা করি

গ্রীষ্মের প্রচন্ড দাবদাহে যখন সারা শরীর ঘামে ভিজে যায়, তখন প্রাকৃতিকভাবে শরীরকে ভিতর থেকে ঠান্ডা রাখার জন্য তরমুজের মতো উপকারী ফল আসলে খুবই কম আছে বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান বা মধ্যপ্রাচ্যের অন্যান্য দেশগুলোতে তথা গ্রীষ্মপ্রধান অঞ্চলগুলোতে তরমুজ শরীর রক্ষা বা স্বাস্থ্য-উন্নতির জন্য প্রকৃতির এক অসামান্য উপহার এই রসালো ফল শুধুমাত্র আমাদের শরীরকে হাইড্রেটেড করে তাই নয়, সঙ্গে ভিটামিন, মিনারেলস এবং বিভিন্ন অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট সরবরাহ করে সামগ্রিক সুস্থতারও উন্নতি ঘটাতে সাহায্য করে এই ব্লগ পোস্টে আমরা তরমুজের বিভিন্ন স্বাস্থ্য-উপকারিতা, গ্রীষ্মে শরীরের জন্য এর ভূমিকা এবং আরো কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা করবো  

তরমুজের পুষ্টিগুণ : একটি প্রাকৃতিক পাওয়ারহাউস

তরমুজকে সহজেই এর পুষ্টি-গুণের জন্য একটি "প্রাকৃতি মাল্টিভিটামিন" বলা যেতে পারেপ্রতি ১০০ গ্রাম তরমুজে কি পরিমাণ পুষ্টিগুণ পাওয়া যায় তা আলোচনা করা হলো

পুষ্টি উপাদান

পরিমাণ

শরীরের জন্য কী করে?

ক্যালোরি

৩০ ক্যালোরি

ওজন কমানোপারফেক্ট ডায়েট, কারণ এটি লো-ক্যালোরি কিন্তু পেট ভরা রাখে

জল

৯১%

ঘামে হারানো জল পূরণ করে ডিহাইড্রেশন মাথাব্যথা রোধ রে 

প্রোটিন

. গ্রাম

পেশী মজবুত করে এবং টিস্যু মেরামতিতে সাহায্য করে

শর্করা

. গ্রাম

প্রাকৃতিক শর্করা (ফ্রুক্টোজ) সরবরাহ করে, যা দ্রুত শক্তি দেয় এবং ক্লান্তি দূর করে

ফাইবার

. গ্রাম

হজমে সাহায্য করে, গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা কমায়

ভিটামিন

৫৬৯ IU

চোখের রেটিনা সুস্থ রাখে, রাতকানা রোগ প্রতিরোধ করে

ভিটামিন সি

. মিগ্রা

স্কার্ভি রোগ রোধ করে, ঠোঁটের কোণায় ঘা কমায়

পটাসিয়াম

১১২ মিগ্রা

হার্টের রিদম ঠিক রাখে, উচ্চ রক্তচাপ কমায়

ম্যাগনেসিয়াম

১০ মিগ্রা

হাড়ের ঘনত্ব বাড়ায়, অস্টিওপোরোসিস প্রতিরোধ করে

লাইকোপেন

৪৫৩২ µg

প্রোস্টেট ক্যান্সারের ঝুঁকি ৩২% পর্যন্ত কমায় (NCBI গবেষণা অনুযায়ী)

 

গুরুত্বপূর্ণ তথ্য : 

সিট্রুলিন : এই ধরনের দুষ্প্রাপ্য অ্যামিনো অ্যাসিড তরমুজে পাওয়া যায়, যা শরীরে নাইট্রিক অক্সাইডের উৎপাদন বাড়ায়, যা রক্তনালী প্রসারিত করে ফলে হৃদরোগ ও ইরেক্টাইল ডিসফাংশনের ঝুঁকি কমে যায় ।

অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি : লাইকোপেন নামক অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি উপাদান জয়েন্টে ব্যথা ও ফোলাভাব কমাতে সাহায্য করে ।

তরমুজ খাওয়ার ১৫টি শীর্ষ স্বাস্থ্য উপকারিতা

) ডিহাইড্রেশন দূর করে

গরমে ঘামের সাথে শরীর থেকে প্রচুর জল, সোডিয়াম এবং অন্যান্য লবণ বেরিয়ে যায় তরমুজে মধ্যে থাকা ৯১% জল বং অন্যান্য ইলেক্ট্রোলাইট (পটাসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম) এই ঘাটতি পূরণ করে  বিশেষ করে শিশু ও বয়স্কদের জন্য এটি একটি দর্শ ফল হতে পারে ।

) হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমায়

তরমুজের মধ্যে থাকা লাইকোপেন নামক উপাদান শরীরের ধমনীতে চর্বি জমা রোধ করে এবং রক্তের LDL (খারাপ কোলেস্টেরল) কমাতে ভূমিকা নেয় । হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটির একটি গবেষণায় দেখা গেছে, যারা সপ্তাহে ৪-৫ বার তরমুজ খান তাদের হার্টের রোগের ঝুঁকি প্রায় ৪৭% কম হয় ।  

) ত্বককে উজ্জ্বল করে

তরমুজের মধ্যেকার ভিটামিন-সি কোলাজেন উৎপাদন বাড়িয়ে ত্বককে টানটান রাখতে এবং ব্রণ,ফুসকুড়ি ইত্যাদি থেকে দূরে থাকতে সাহায্য করে । তাছাড়া, তরমুজের জুস সরাসরি ত্বকে লাগালে সানট্যান মিয়ে ঔজ্জ্বল্য বাড়ায় ।

) ওজন কমাতে সাহায্য করে

তরমুজে প্রচুর পরিমাণে জলের সঙ্গে প্রচুর ফাইবার থাকার জন্যে এটি খেলে বহুক্ষণ ধরে পেট ভরার অনুভূতি দেয় এবং খুচরো অস্বাস্থ্যকর স্ন্যাক্স খাওয়া কমায় । সেইসঙ্গে এটিতে খুবই কম ক্যালোরি (একটি মাঝারি মাপের তরমুজে মাত্র ১৫০ ক্যালোরি) থাকায় সামগ্রিকভাবে ওজন কম রাখতে সাহায্য করে ।

) পেশী ব্যথা কমায়

সিট্রুলিন জাতীয় অ্যামাইনো অ্যাসিড পেশীর মধ্যে রক্তসঞ্চালন বাড়িয়ে তুলে পেশীতে ল্যাকটিক অ্যাসিড জমাকে প্রতিহত করে । ২০১৫ সালের একটি গবেষণায় দেখা গেছে যে, তরমুজের জুস খেলে ব্যয়ামের পরের পেশীর ব্যথা প্রায় ৪০% অবধি কমানো যেতে পারে ।

) কিডনীতে পাথর হওয়া রোধ করে

তরমুজের মধ্যে থাকা সাইট্রিক অ্যাসিড কিডনীর মথ্যে ক্যালসিয়াম অক্সালেটের জমাকে প্রতিহত করে । ফল হিসাবে কিডনীতে পাথর জমা প্রতিরোধ হয় । সপ্তাহে ৩-৪ বার তরমুজ খেলে কিডনি সুস্থ রাখা যায় । 

) দৃষ্টিশক্তিউন্নতি ঘটায়

তরমুজের মধ্যে বিদ্যমান ভিটামিন-এ এবং বিটা-ক্যারোটিন উপাদান চোখের রেটিনাকে ক্ষতির হাত থেকে বাঁচায় । এটি বয়স্ক মানুষদের মধ্যে ম্যাকুলার ডিজেনারেশন (দৃষ্টিহানি) প্রায় ২৫% পর্যন্ত কমাতে পারে ।   

) ক্যান্সার কোষের বিরুদ্ধে লড়াই করে

তরমুজের মধ্যে থাকা লাইকোপেন নামক বিশেষ উপাদান DNA-য়ের ক্ষতি হওয়া আটকায় এবং টিউমার সেল গঠনে বাধা দেয় । বিশেষ করে প্রস্টেট ও ব্রেস্ট ক্যান্সারের ক্ষেত্রে এর ভূমিকা বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য । 

) গর্ভাবস্থায় অ্যানিমিয়া প্রতিরোধ করে

তরমুজের মধ্যে থাকা আয়রন ও ফোলেট উপাদান রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বাড়ায়, যা গর্ভাবস্থায় গর্ভবতী মা ও শিশুর জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয় ।

১০) মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বাড়ায়

তরমুজের মধ্যে উপস্থিত কলিন নামক বিশেষ উপাদান স্মৃতিশক্তি ধরে রাখা এবং কোন কিছু শেখার ক্ষমতাকে উন্নত করে । এটি আলঝাইমার রোগের ঝুঁকিও কমায় । 

১১) হজম ক্ষমতা বাড়ায়

তরমুজের মধ্যে থাকা ফাইবার খাদ্যনালীর পেরিস্টলসিস (peristalsis) প্রক্রিয়াকে (সংকোচন-প্রসারণ প্রক্রিয়া) নিয়মিত করে তোলে, যা কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে এবং হজম ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে । 

১২) মুখের দুর্গন্ধ দূর করে

তরমুজের মধ্যেকার অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদানগুলি মুখের মধ্যে উপস্থিত ব্যাকটেরিয়াকে মেরে ফেলে মুখের দুর্গন্ধ কমায় ।   

১৩) হাঁপানি নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে

তরমুজের মধ্যে উপস্থিত ভিটামিন-সি শ্বাসনালীর প্রদাহ কমাতে এবং অ্যাজমার লক্ষণগুলিকে  নিয়ন্ত্রণে রাখতে ভূমিকা নেয় ।   

১৪) লিভার ডি-টক্সিফাই করে

তরমুজের মধ্যে থাকা গ্লুটাথিয়ন (glutathione) নামক বিশেষ অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট লিভার থেকে টক্সিন বের করে দিতে সাহায্য করে । যার ফল হিসাবে এটি ফ্যাটি লিভার রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে । 

১৫) মানসিক চাপ কমায়

তরমুজের মধ্যে উপস্থিত ভিটামিন বি-৬, সেরোটোনিন ও ডোপামিন হরমোন নিঃসরণে সাহায্য করে, যা মুড সুয়িং এবং ডিপ্রেশন কমাতে সাহায্য করে । 

গরমে তরমুজ খাওয়ার ১২টি বিশেষ সুবিধা

) প্রাকৃতিক এয়ার কন্ডিশনার হিসাবে কাজ করে

তরমুজের মধ্যে থাকা প্রচুর পরিমাণে জলীয় উপাদান শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে এবং গরমে ঘন ঘন জলীয় পিপাসা কমায় । 

) ইলেক্ট্রোলাইট রিচার্জ করে

অতিরিক্ত গরমে ঘামের মাধ্যমে পটাসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম ও সোডিয়াম উপাদানগুলি কমে গেলে তা পূরণ করে, যা পেশী ক্র্যাম্প এবং মাথা ঘোরার প্রবণতা রোধ করে । 

) সানবার্ন থেকে সুরক্ষা দেয়

তরমুজের মধ্যেকার লাইকোপেন উপাদান গরমে প্রচন্ড সূর্যের UV রশ্মির ক্ষতিকর প্রভাব থেকে ত্বককে ৪০% পর্যন্ত রক্ষা করতে পারে । তরমুজের জুস নিয়মিত খেলে সানস্ক্রিনের সাথে এটি একটি প্রাকৃতিক কম্বো হিসাবে লাভ দেয় ।

তরমুজের শীর্ষ স্বাস্থ্য উপকারিতা : গরমে এটি কেন খাবেন  

) প্রাকৃতিক এনার্জি ড্রিংক হিসাবে কাজ করে

তরমুজের মধ্যেকার ফ্রুক্টোজ ও গ্লুকোজ শরীরের দ্রুত শক্তি সরবরা্হ করতে পারে, যা প্রচন্ড  গরমে কাজের স্ট্যামিনা বাড়িয়ে তুলতে পারে । 

) ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখে

তরমুজের জুস পান করলে এর উচ্চ জলীয় উপাদানের জন্য ত্বক ভিতর থেকে হাইড্রেটেড থাকে এবং ত্বকের শুষ্কতা রোধ হয় ।   

) লিভার পরিষ্কার করে

তরমুজ কিডনীর পাশাপাশি লিভারকেও ডি-টক্সিফাই করতে পারে, যা ফ্যাটি লিভার ও জন্ডিসের ঝুঁকি কমিয়ে দেয় ।

) মিষ্টি খাওয়ার প্রবণতা নিয়ন্ত্রণ করে

তরমুজের প্রাকৃতিক মিষ্টি ফ্রুক্টোজ ও গ্লুকোজ (Fructose & Glucose), মিষ্টির সরবরাহ করে মিষ্টি খাওয়ার প্রবণতা কমিয়ে ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে । 

) হাড় মজবুত করে

বিশেষ করে মহিলাদের মেনোপজ পরবর্তী সময়ে, এর ম্যাগনেসিয়াম ও ক্যালসিয়ামের কম্বিনেশন হাড়ের ঘনত্ব বাড়াতে সাহায্য করে । 

) প্রস্রাবের ইনফেকশন রোধ করে

তরমুজের মধ্যে ডিউরেটিক(diuretic) উপাদানে উপস্থিতির কারণে প্রস্রাবের মাধ্যমে ব্যাকটেরিয়া বের করে দিতে ভূমকিা নেয়, যা ইউরিনারী ট্র্যাক্ট ইনফেকশন (UTI) প্রতিরোধে সাহায্য করে ।

১০) অ্যালার্জির প্রবণতা কমায়

তরমুজের মধ্যে থাকা ভিটামিন সি হিস্টামিন নিঃসরণ কমিয়ে হাঁচি-কাশি ও অ্যালার্জিক রাইনাইটিস নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে । 

১১) চুলের গোড়া শক্ত করে

তরমুজের মধ্যে থাকা আয়রন ও জিঙ্ক চুলের পুষ্টির ঘাটতি কমিয়ে চুল পড়া কমায় এবং নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে । 

১২) ঘুমের উন্নতি ঘটায়

তরমুজের মধ্যে উপস্থিত ভিটামিন বি-৬, শরীরের মেলাটোনিন হরমোনের নি:সরণে ভারসাম্য বজায় রেখে অনিদ্রা (insomnia) দূর করতে সাহায্য করে ।   

 

প্রায়শ: জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন (FAQ)

) ডায়াবেটিস রোগীরা কি তরমুজ খেতে পারবেন? 

উত্তর: ডায়াবেটিস রোগীরা পরিমিত পরিমাণে (প্রতিদিন ২০০ গ্রাম বা ১ কাপ কাটা তরমুজ) তরমুজ খেতে পারেন । তরমুজের গ্লাইসেমিক ইনডেক্স (GI) ৭২ হলেও গ্লাইসেমিক লোড  (GL) মাত্র ২, যা রক্তে সুগার বাড়ার প্রক্রিয়াকে ধীর করে দেয় ডায়াবেটিস রোগীরা এটি অন্যান্য হাই-ফাইবার খাবারের (যেমন: ওটস) সাথে মিশিয়ে খেলে উপকার পেতে পারেন । তবে খাওয়ার আগে আপনার অন্তর্নিহিত স্বাস্থ্য-সমস্যা থেকে সাবধান থাকার জন্য একবার ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করে নেওয়া ভালো ।

) তরমুজের বীজ কি স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর? 

উত্তর: তরমুজের বীজ স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর নয়, বরং এতে প্রোটিন উপাদান (১ চা চামচে প্রায় ১ গ্রাম), আয়রন, ম্যাগনেসিয়াম ও জিঙ্ক থাকে, যা আপনার জন্যে লাভদায়ক হতে পারে । তরমুজের বীজকে শুকিয়ে ভালো করে ব্লেন্ড করে পাউডার বানিয়ে স্মুদি বা দইয়ে মিশিয়ে খাওয়া যেতে পারে । তবে দিনে ১ চা চামচের বেশি না খাওয়াই ভালো, কারণ অতিরিক্ত খেলে পেটে গ্যাস বা বমি বমি ভাব সৃষ্টি হতে পারে 

) কিডনি রোগে তরমুজ খাওয়া কি ঠিক? 

উত্তর) : প্রাথমিক পর্যায়ের কিডনি রোগীরা চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে পরিমিতভাবে তরমুজ খেতে পারেন । কিন্তু ক্রনিক কিডনী ডিজিজের (CKD) রোগীরা (বিশেষত: Stage 4 বা Stage 5) রোগীদের এড়িয়ে চলাই ভালো, কারণ তরমুজে পটাসিয়াম বেশি থাকে যা কিডনী উপর বাড়তি চাপ সৃষ্টি করতে পারে ।

) গর্ভাবস্থায় তরমুজ খাওয়ার নিয়ম কি? 

ত্ত) : গর্ভাবস্থায় তরমুজ অত্যন্ত উপকারী হতে পারে, কারণ এর মধ্যে থাকা ফোলেট উপাদান গর্ভে থাকা শিশুর নিউরাল টিউব ডিফেক্টকে প্রতিরোধ করে । তবে দিনে ২ কাপের বেশি না খাওয়াই ভালো । আর শুরু করার আগে একবার ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করে নেওয়া দরকার । কারণ আপনার বিশেষ স্বাস্থ্য অবস্থার উপরে সম্ভাব্য প্রতিক্রিয়া নির্ভর করতে পারে । 

) তরমুজ ফ্রিজে রাখা ভালো নাকি বাইরে? 

উত্তর) : তরমুজ ফ্রিজে রাখা বা বাইরে রাখার উপরে নীচের কিছু বিষয় নির্ভর করে –

কাটা তরমুজ : তরমুজ ফ্রিজে রাখলে এয়ারটাইট কন্টেইনারে রাখুন (৪°C তাপমাত্রায়) এবং ২-৩ দিনের মধ্যে খেয়ে ফেলুন । ফ্রিজে রাখলে এর স্বাদ কমে যেতে পারে ।

গোটা তরমুজ : শীতল ও শুষ্ক জায়গায় (২৫°C) ৭-১০ দিন পর্যন্ত রাখা যেতে পারে ।

) তরমুজ খাওয়ার পরে পেট ব্যথা হয় কেন

উত্তর): সাধারণভাবে তরমুজ খ্ওয়ার পেট ব্যথার দুটি কারণে হতে পারে

অতিরিক্ত খাওয়া : তরমুজে ফ্রুক্টোজ থাকে, যা হজমে সমস্যা তৈরি করতে পারে। 

অ্যালার্জি : কিছু মানুষের তরমুজে ওরাল অ্যালার্জি সিনড্রোম (OAS) থাকতে পারে, যার লক্ষণ হলো ঠোঁট ফুলে যাওয়া বা চুলকানি । 

এই ধরনের সমস্যা সমাধানের জন্য খালি পেটে তরমুজ খাওয়া এড়িয়ে চলুন এবং একবারে ২ কাপের বেশি পরিমাণ না খাওয়া্ই ভালো । 


সব শেষে ... 

তরমুজ শুধুমাত্র গ্রীষ্মের একটি ফল নয়, র বহুবিধ উপকারিতার জন্য সহজেই এটিকে একটি সুপারফুড বলা যেতে পারে ! পুষ্টিগুণ, স্বাদ, এবং স্বাস্থ্য উপকারিতার সমন্বয়ে এর বহুবিধতার জন্যে গরমকালে এটিকে সবার ডায়েটে যোগ করা উচিত । এই ব্লগটি শেয়ার করে আপনার প্রিয়জনদের সুস্থ থাকার জন্য সাহায্য করুন । এই বিষয়ে কোন প্রশ্ন থাকলে কমেন্টসে জানান ।


একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ