আধুনিক স্বাস্থ্য এবং সুস্থতার আলোচনাগুলিতে প্রোবায়োটিকগুলি একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হিসাবে উঠে এসেছে । এই জীবন্ত অণুজীবগুলি, বেশিরভাগ ক্ষেত্রে “উপকারী ব্যাকটেরিয়া” হিসাবে পরিচিত হয়েছে এবং দেখা গেছে যে এরা আমাদের গ্যাস্ট্রোইনটেস্টিনাল হোমিওস্টেসিস এবং সামগ্রিক শারীরবৃত্তীয় স্বাস্থ্য সংরক্ষণে কার্যকরী ভূমিকা নেয় । এই ব্লগ পোস্টে আমরা প্রোবায়োটিক হিসাবে পরিচিত ইয়োগার্ট, আইরিশ মস এবং কেফির সম্পর্কে একটি স্বতন্ত আলোচনা করার চেষ্টা করবো । যার মধ্যে এদের স্বতন্ত্রতা, মানব শরীরে এদের প্রভাব ইত্যাদি বিষয়গুলি তুলে ধরার চেষ্টা করবো । যার ফলে এদের নির্বাচনের ক্ষেত্রে যে জটিলতার সৃষ্টি হয়, তা সমাধান করে কোন ক্ষেত্রগুলির উপর ফোকাস করে কাকে নির্বাচন করা উচিত হবে, তাতে সাহায্য করবে ।
প্রোবায়োটিক কি
প্রোবায়োটিক হলো একধরনের জীবন্ত অণুজীব, যা যথাযথ পরিমাণে খেলে হোস্ট অর্থাৎ মানবশরীরকে বিভিন্ন সুবিধা প্রদান করতে পারে । বিভিন্ন সূত্র মারফৎ আমরা গ্যাস্ট্রোইনটেস্টিনাল ফাংশনকে উন্নত করার ক্ষেত্রে প্রোবায়োটিকের অপরিসীম
ভূমিকার কথা প্রায় সবাই জানি । কিন্তু শুধু সেখানেই নয়, প্রোবায়োটিকগুলি মানুষের সামগ্রিক স্বাস্থ্য-ক্ষেত্রের বহু বিষয়ে প্রভাব বিস্তার করতে পারে । যেমন – মানুষের গ্যাস্ট্রোইটেস্টিনাল ট্র্যাক্ট একটি জটিল মাইক্রোবায়োটা
ইকোসিস্টেম ধারণ করে, যেখানে কমেন্সাল ব্যাকটেরিয়া এবং প্যাথোজেনিক
ব্যাকটেরিয়াগুলির মধ্যে একটি সিম্বায়োটিক সম্পর্ক সর্বোচ্চ স্বাস্থ্যের জন্য
অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ । প্রোবায়োটিক গুলি উপকারী ব্যাকটেরিয়া যোগ করে সেই সুক্ষ্ম
ভারসাম্য বজায় রাখতে বিশেষ ভূমিকা নেয় । অ্যান্টিবায়োটিক থেরাপি বা সংক্রমণের সময়
সাব-অপ্টিমাল খাদ্যাভ্যাসের জন্যে উদ্ভূত ডিসবায়োসিসের পরিস্থিতিতে এটি অত্যন্ত
গুরুত্বপূর্ণ । তাছাড়া, প্রোবায়োটিকগুলি ইমিউন মডুলেশন এবং বিপাকীয় ক্রিয়া
নিয়ন্ত্রণেও বিশেষ ভূমিকা নেয় ।
ইয়োগার্ট
ইয়োগার্ট, একটি গাঁজনযুক্ত দুগ্ধজাত পণ্য এবং সবচেয়ে কার্যকরী প্রোবায়োটিকের উৎস হিসাবে পরিচিতি লাভ করেছে । ল্যাক্টোব্যাসিলাস এবং বিফিডোব্যাকটেরিয়ামের দ্বারা কালচার করা গাজন প্রক্রিয়ার ফলে এটিকে শুধু দই হিসাবে তার সংবেদশীল বৈশিষ্ট্য বাড়িয়ে তুলেছে তাই নয়, এর স্বাস্থ্যগত সুবিধাগুলিকেও উন্নত করে তুলেছে –
১) গ্যাস্ট্রোইটেস্টিনাল স্বাস্থ্য – ইয়োগার্টে প্রোবায়োটিক
হিসাবে নির্দিষ্ট ব্যাকটেরিয়াল স্ট্রেনগুলির উপস্থিতি অন্ত্রের গতিশীলতা এবং
অখন্ডতাকে শুধরে ফেলে কোষ্ঠকাঠিন্য, ডায়রিয়া ইত্যাদি বিভিন্ন হজমের সমস্যাগুলিকে
উপশম করতে সাহায্য করে ।
২) ইমিউন সিস্টেমের উন্নতি – ইয়োগার্ট অন্ত্র-সম্পর্কিত
লিম্ফয়েড টিস্যুগুলির (GALT) মডুলেশনের মাধ্যমে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে শক্তিশালী করে তুলতে গুরুত্বপূর্ণ
ভূমিকা নেয় ।
৩) হাড়ের উন্নতি – এটি জৈব ক্যালসিয়ামে সমৃদ্ধ হওয়ার কারণে
হাড়ের ঘনত্ব বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে, ফলে অস্টিওপোরোসিসের মতো হাড়ের আরো
সমস্যাগুলির ঝুকি কমাতে সাহায্য করে ।
৪) বিপাকীয়
প্রভাব – এই ধরনের প্রোবায়োটিক নিয়মিত গ্রহণের ফলে তৃপ্তির হরমোন এবং বিপাকীয় পথকে
প্রভাবিত করা সম্ভব । যা ওজন নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করতে পারে ।
সর্বোচ্চ ফল
লাভের জন্য বাজার থেকে কেনার সময় “জৈব এবং অ্যাকটিভ কালচার্ড” লেবেলযুক্ত এবং
অতিরিক্ত ফিলার বা শর্করা বিহীন ইয়োগার্ট কেনা উচিত ।
আইরিশ মস
আইরিশ মস, যা বৈজ্ঞানিকভাবে Chondrus Crispus নামে পরিচিত, এক ধরনের লাল শৈবাল প্রজাতি যা মূলত: ইউরোপ এবং উত্তর আমেরিকার আটলান্টিক উপকূল অঞ্চলগুলিতে পাওয়া যায় । যদিও এর চিকিৎসামূলক বৈশিষ্ট্যের জন্য এটি আগে থেকেই পরিচিত ছিলো, কিন্তু বর্তমানে তার প্রোবায়োটিক বৈশিষ্ট্যের জন্য এটি বিশেষভাবে পরিচিত হয়ে উঠেছে ।
১) মাইক্রোনিউট্রিয়েন্ট সমৃদ্ধতা – আইরশ মস ভিটামিন A, C, E এবং K সহ আয়োডিন, ক্যালসিয়াম,
পটাশিয়া এবং ম্যাগনেশিয়াম সহ বিভিন্ন মাইক্রোনিয়েন্টে সমৃদ্ধ এবং বিভিন্ন
স্বাস্থ্য-সুবিধা দিতে সক্ষম ।
২) অন্ত্রের মাইক্রোবায়োটার উন্নতি – আইরিশ মস একটি প্রি-বায়োটিক হিসাবে একটি
সাবস্ট্রেট (একটি স্তর, যেখানে অণুজীবগুলি বর্ধিত হওয়ার সুযোগ পায়) রুপে কাজ করে ।
যার ফলে অন্ত্রের মাইক্রোবায়াম উন্নত ও শক্তিশালী হয় এবং প্রোবায়োটিকের
কার্যকারিতা বৃদ্ধি পায় ।
৩) রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় – আইরিশ মস তার অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট এবং
অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি ক্ষমতার জন্যে পরিচিত । তার এই বৈশিষ্ট্যগুলি উচ্চতর রোগ
প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করে ।
৪) চর্মরোগের প্রতিরোধ – আইরিশ মস তার হাইড্রেটিং এবং অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি
বৈশিষ্ট্যের জন্য পূর্ব পরিচিত । যেগুলি চর্মরোগের ক্ষেত্রে ত্বকের তরফে বাধা
প্রদান করার ক্ষমতাকে বাড়িয়ে তোলে ।
আইরিশ মসকে স্মুদি, স্যুপ বা বিভিন্ন রন্ধনপ্রণালীতে ঘন করার একটি জৈব এজেন্ট
হিসাবে ব্যবহার করা যেতে পারে এবং দৈনিক ডায়েটের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত করার মাধ্যমে
একটি প্রি-বায়োটিক সহ তার বিভিন্ন পুষ্টি-উপাদানের প্রাচুর্যতার উপকারিতা লাভ করা
যেতে পারে ।
কেফির
ককেশাস অঞ্চলে উদ্ভূত একটি ঐতিহ্যবাহী, গাঁজনযুক্ত দুধের পানীয় হলো কেফির, যা তার জটিল এবং বৈচিত্র্যময় মাইক্রোবায়াল গঠনের জন্য পুষ্টির জগতে সুপরিচিত । এটি সাধারণ প্রচলিত দইয়ের চেয়েও বেশি প্রোবায়োটিক ক্ষমতাসম্পন্ন । কারণ, এতে ঈস্ট এবং ব্যাকটেরিয়া উভয় স্ট্রেনই পাওয়া যায় । আর এর অনন্য গাজন প্রক্রিয়ার জন্য এটি বিভিন্ন স্বাস্থ্য-গুণে সমৃদ্ধ ।
১) মাইক্রোবায়াল বৈচিত্র্য – কেফিরের মধ্যে
ল্যাকটোব্যাসিলাস, বিফিডোব্যাকটেরিয়াম এবং বিভিন্ন ধরনের ঈস্ট সহ প্রোবায়োটিকের
একটি বিস্তৃত উপলব্ধতা দেখতে পাওয়া যায় । প্রোবায়োটিক হিসাবে এদের সম্মিলিত
উপস্থিতি গ্যাস্ট্রোইনটেস্টিনাল সুবিধাগুলিকে বাড়িয়ে তোলে । যা হজম ক্ষমতাকে উন্নত
করে এবং একটি স্বাস্থ্যকর অন্ত্র বজায় রাখতে সাহায্য করে ।
২) ল্যাকটোজ হাইড্রোলাইসিস – কেফির উৎপাদনের সময় যে গাঁজন
প্রক্রিয়া করা হয়, সেখানে ল্যাকটোজগুলি হাইড্রোলাইজ হওয়ার মাধ্যমে কেফির উৎপাদিত
হয় । ফলে এটি ল্যাকটোজ ম্যালাবসর্পশনে (এমন একটি অবস্থা, যেখানে ক্ষুদ্রান্ত্র পান
করা বা খাওয়া ল্যাকটোজকে হজম করতে পারে না বা হজম করতে গেলে ভেঙ্গে যায়) ভুগছেন
তাদের জন্য এটি একটি উপযুক্ত বিকল্প হতে পারে ।
৩) হাড়ের স্বাস্থ্য – ইয়োগার্টের মতোই কেফিরও জৈব
ক্যালসিয়াম এবং ভিটামিন K2-র একটি সমৃদ্ধ উৎস । এই পুষ্টি-উপাদানগুলো হাড়ের স্বাস্থ্য রক্ষায় এবং
অস্টিওপোরোসিসের প্রতিরোধে অত্যন্ত কার্যকরী ভূমিকা নেয় ।
৪) অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি বৈশিষ্ট্য – কেফিরের অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি
বৈশিষ্ট্য অন্ত্রের প্রদাহজনক অবস্থা (IBD) এবং গ্যাস্ট্রোইনটেস্টিনাল প্রদাহজনক অবস্থার মতো
সমস্যাগুলির উপশমে সাহায্য করে ।
৫) অন্ত্র-মস্তিষ্কের যোগাযোগের উন্নতি – কেফিরের
প্রোবায়োটিকগুলি অন্ত্র-মস্তিষ্কের অক্ষের উন্নতির মাধ্যমে উদ্বেগ হ্রাস এবং
মেজাজ উন্নত করতে পারে । অন্ত্র এবং মস্তিষ্কের মধ্যে এই দ্বিমুখী যোগাযোগের
উন্নতি মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতিতে সাহায্য করে ।
কেফিরকে একটি স্বতন্ত্র পানীয় হিসাবে, স্মুদিতে মিশ্রিত করে
অথবা স্যালাড ড্রেসিংয়ে বা সস তৈরীতে ব্যবহার করা যেতে পারে । আবার বিভিন্ন
রন্ধনপ্রণালীতে এটিকে একটি বেস হিসাবে ব্যবহার করা যেতে পারে ।
প্রায়শই জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন (FAQs)
১) প্রোবায়োটিকের প্রধান স্বাস্থ্য-সুবিধাগুলি কি কি ?
উত্তর):
প্রোবায়োটিকগুলি মূলত: অন্ত্রের মইক্রোবায়োটার সুষম ভারসাম্য বজায় রাখার মাধ্যমে
হজম ক্ষমতাকে বাড়িয়ে তোলে । তবে শুধু সেখানেই তার ভূমিকা সীমাবদ্ধ থাকে না, এগুলি
ইমিউন সিস্টেমকেও সমর্থন করে, অন্ত্র এবং গ্যাস্ট্রো-ইনটেস্টিনাল প্রদাহ কমাতেও
সাহায্য করে এবং অন্ত্র-মস্তিষ্কের অক্ষের যোগাযোগের উন্নতির মাধ্যমে মানসিক
স্বাস্থ্যের উন্নতিতেও সাহায্য করে ।
২) কিভাবে প্রোবায়োটিক ইয়োগার্ট নিয়মিত দই থেকে আলাদা ?
উত্তর):
প্রোবায়োটিক হিসাবে জৈব এবং অ্যাকটিভ কালচারের মাধ্যমে ইয়োগার্টৈর মধ্যে
ব্যাকটেরিয়াগুলিকে অ্যাকটিভ রাখা হয়, যেখানে নিয়মিত দইয়ের মধ্যে এই ধরনের উপকারী
ব্যাকটেরিয়াগুলি থাকতেও পারে বা নাও থাকতে পারে অথবা খুব কম থাকতে পারে ।
৩) আইরিশ মস কি থাইরয়েডের সমস্যায় আক্রান্ত ব্যক্তিরা খেতে পারে ?
উত্তর): হ্যাঁ, খেতে
পারেন, তবে সতর্কতার সঙ্গে গ্রহণ করা দরকার । কারণ, আইরিশ মসে প্রচুর আয়োডিন থাকে,
যা থাইরয়েডকে প্রভাবিত করতে পারে । তাই আমাদের পরামর্শ হবে, কোন থাইরয়েডের সমস্যায়
ভোগা ব্যক্তি এটিকে তাদের ডায়েটে অন্তর্ভুক্ত করার আগে একবার নিজেদের
স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারীর সঙ্গে পরামর্শ করে নেওয়া উচিত ।
৪) কেফির কি ল্যাকটোজ-অসহনসীল ব্যক্তিদের জন্যে উপযুক্ত ?
উত্তর):
সাধারণভাবে কেফির ল্যাকটোজ-অসহনশীল ব্যক্তিরা গ্রহণ করতে পারেন । কারণ, এর
উৎপাদনের জন্যে গাঁজন প্রক্রিয়ার সময় ল্যাকটোজকে হাইড্রোলাইজ হওয়ার মাধ্যমে কেফির উৎপাদিত হয় । যার ফলে এটি ল্যাকটোজ-অসহনশীল
ব্যক্তিদের জন্যে ভালোভাবে সহ্য হয় বা এটিকে তাদের পাচনের জন্য সহজ হয়ে ওঠে ।
৫) কিভাবে আইরিশ মস খাওয়ার জন্য প্রস্তুত করা উচিত ?
উত্তর): অতিরিক্ত লবণ এবং অপদ্রব্য অপসারণের জন্যে বেশ
কিছুক্ষণ ধরে জলে ভিজিয়ে ভালোভাবে ধুয়ে নেওয়া উচিত । তারপর সামান্য জলে মিশিয়ে
এগুলিকে বিভিন্ন রেসিপিতে, স্মুদিতে, স্যুপের মধ্যে যোগ করে গ্রহণ করা যেতে পারে ।
৬) প্রোবায়োটিকের প্রস্তাবিত দৈনিক গ্রহণের মান কি ?
উত্তর): এর জন্যে কোন সবর্বজনীন পরামর্শ নেই, তবে অধিকাংশ
বিশেষজ্ঞ প্রতিদিনই প্রোবায়োটিক সমৃদ্ধ খাবার খাওয়ার পরামর্শ দেন । আর ব্যক্তিগত
স্বাস্থ্যের অবস্থা, প্রয়োজনীয়তা এবং নির্বাচিত প্রোবায়োটিকের সুনির্দিষ্ট
স্ট্রেনের উপর ভিত্তি করে সঠিক পরিমাণ পরিবর্তিত হতে পারে । আর সেইজন্য দৈনিক
গ্রহণের আগে কোন পেশাদার স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারী বা ডায়েটেশিয়ানের সঙ্গে পরামর্শ
করে নেওয়া উচিত ।
প্রোবায়োটিকগুলি মান স্বাস্থ্যের জন্যে খুবই গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এরা যেমন গ্যাস্ট্রৌ-ইনটেস্টিনাল স্বাস্থ্যকে শক্তিশালী করে তোলে, তেমনই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে হাড়ের স্বাস্থ্যেরও উন্নতি ঘটায় এবং মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতিতেও সহায়ক ভূমিকা পালন করে । আর প্রোবায়োটিকের উৎস হিসাবে ইয়োগার্ট, আইরিশ মস বা কেফির ব্যবহার করে মানুষ তাদের স্বাস্থ্য-সুবিধাগুলোকে কাজে লাগিয়ে নিজেদের স্বা্স্থ্য-লক্ষ্য পূরণ করে এবং তাদের স্বাস্থ্য-প্রয়োজনীয়তার পূরণ ঘটিয়ে সামগ্রিক স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটাতে পারে । তবে যদি কারো কোন অন্তর্নিহিত স্বাস্থ্য-সমস্যা থাকে বা বিশেষ কোন স্বাস্থ্য-লক্ষ্য পূরণের উদ্দেশ্যে প্রোবায়োটিক দৈনিক খাদ্য-তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করার কথা ভাবেন, তাহলে অন্তর্ভুক্তির আগে একবার কোন পেশাদার স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারী বা কোন পেশাদার ডায়েটেশিয়ানের সঙ্গে আলোচনা করে নেওয়া ভালো হবে । তাহলে তিনি আপনার স্বাস্থ্য-প্রয়োজনীয়তা অনুযায়ী আপনার কি ধরনের প্রোবায়োটিক এবং দৈনিক কতোটা গ্রহণ করা উচিত সে ব্যাপারে সঠিক পরামর্শ দিতে পারবেন ।
0 মন্তব্যসমূহ