ডায়াবেটিস
হল শরীরের এমন একটি দীর্ঘস্থায়ী অবস্থা, যা ঘটলে শরীর পর্যাপ্ত ইনসুলিন তৈরী করতে
পারে না বা কার্যকরভাবে যে ইনসুলিন শরীর উৎপন্ন করে তা সঠিকভাবে ব্যবহার করতে পারে
না । ইনসুলিন হলো অগ্ন্যাশয় থেকে নি:সৃত এমন একটি হরমোন, যা রক্তে শর্করা বা
গ্লুকোজের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে । বর্তমান দিনে শুধু ভারতে নয়, সারা
বিশ্বে আজ ডায়াবেটিস দ্বারা লক্ষ লক্ষ মানুষ প্রভাবিত । আর সমগ্র বিশ্বে এই
সমস্যাটি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ডায়াবেটিসের প্রতিকারের জন্যে প্রাকৃতিক প্রতিকার এবং
পরিপূরকগুলির প্রতি মানুষের আগ্রহ বেড়েছে । ননী হলো এমনই একটি প্রাকৃতিক প্রতিকার,
যার প্রতি আজ খাদ্য-পরিপূরক হিসাবে গোটা বিশ্বের আগ্রহ-আকর্ষণ-কৌতূহল ক্রমবর্ধমান
হারে বেড়ে চলেছে । ননী ফল হলো আসলে মরিন্ডা সিট্রিফোলিয়া নামের গাছের ফল, যা
সাধারণ ভাবে ননী নামে পরিচিতি পেয়েছে । ননী বহু শতাব্দী ধরে ঐতিহ্যবাহী ভেষজ
প্রতিকার ধরে ব্যবহৃত হয়ে আসছে । আমরা এই ব্লগ পোস্টে ডায়াবেটিসের প্রকারভেদ এবং
ডায়াবেটিস সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত আলোচনা করবো এবং মূলত: দেখে নেবো যে ননী কিভাবে এবং
ডায়াবেটিসের রোগীদের ক্ষেত্রে প্রভাব বিস্তার করতে পারে ।
ডায়াবেটিসের
প্রকারভেদ
বিভিন্ন ধরণের ডায়াবেটিস রয়েছে, যার প্রতিটির বিভিন্ন কারণ এবং বৈশিষ্ট্য রয়েছে । যেমন -
টাইপ ১ ডায়াবেটিস
এটিকে একটি অটোইমিউন অবস্থা বলা যেতে পারে, যেখানে মানুষের নিজস্ব ইমিউন সিস্টেম অগ্ন্যাশয়ের ইনসুলিন-উৎপাদনকারী বিটা কোষকে আক্রমণ করে এবং সেগুলিকে ধ্বংস করতে থাকে ।
এটি সাধারণত: শিশু, তরুণ এবং প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে লক্ষ্য করা যায়, কিন্তু এটি যে কোনো বয়সেই মানুষের মধ্যে দেখা দিতে পারে । প্রয়োজনে আজীবন ইনসুলিন থেরাপির প্রয়োজন হয় ।
টাইপ ২ ডায়াবেটিস
এটি
ডায়াবেটিসের সবচেয়ে সাধারণ রূপ, এতে শরীর ইনসুলিন প্রতিরোধী হয়ে ওঠে বা শরীরে
পর্যাপ্ত ইনসুলিন হরমোন তৈরী হয় না ।
এটি প্রায়শ:ই স্থূলতা এবং জীবনধারার সাথে যুক্ত বিভিন্ন কারণে শরীরে বাসা বাঁধে । বেশির ভাগ ক্ষেত্রে জীবনধারার পরিবর্তন, ওষুধ বা ইনসুলিন দিয়ে নিয়ন্ত্রণ করা যেতে পারে ।
গর্ভকালীন ডায়াবেটিস
সাধারণত: গর্ভাবস্থায় মহিলাদের মধ্যে এই ধরনের
ডায়াবেটিসের লক্ষণগুলি দেখা যায় । কিন্তু বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সন্তানের জন্ম দেওয়ার
পরে এই সমস্ত লক্ষণগুলির অবসান ঘটে । যদিও গর্ভকালীন ডায়াবেটিসে আক্রান্ত মহিলাদের
ক্ষেত্রে পরবর্তী জীবনে টাইপ ২ ডায়াবেটিসের ঝুঁকি অনেক বেশি থাকে ।
অন্যান্য প্রকার
উপরোক্ত কারণগুলি ছাড়াও আরো কতকগুলি কারণে ডায়াবেটিসের
সমস্যা দেখা দেয় । এগুলির মধ্যে জিনগত ত্রুটি, অগ্ন্যাশয়ের রোগ, বা হরমোনজনিত ব্যাধির ফলে সৃষ্ট অবস্থা থেকে উদ্ভূত
ডায়াবেটিস হলো উল্লেখযোগ্য ।
উপসর্গ
- ঘন ঘন জলতৃষ্ণা পাওয়া
- ঘন ঘন প্রস্রাব হওয়া
- চরম ক্লান্তি লাগা
- দৃষ্টি ঝাপসা হয়ে যাওয়া
- কোন ক্ষত বা ঘায়ের নিরাময় অত্যন্ত ধীর নিরাময় হওয়া
- ওজন হ্রাস হওয়া (টাইপ ১ এ আরও সাধারণ)
জটিলতা
সঠিকভাবে চিকিৎসা না হলে অথবা সঠিকভাবে নিয়ন্ত্রণ করা না
গেলে ডায়াবেটিস স্বাস্থ্যক্ষেত্রে অনেক গুরুতর জটিলতার কারণ হতে পারে, যার মধ্যে রয়েছে:
- হৃদরোগ এবং স্ট্রোক
- কিডনির ক্ষতি (ডায়াবেটিক নেফ্রোপ্যাথি)
- স্নায়ুর ক্ষতি (ডায়াবেটিক নিউরোপ্যাথি)
- চোখের ক্ষতি (ডায়াবেটিক রেটিনোপ্যাথি)
- পায়ের সমস্যা (সংক্রমণ এবং আলসার)
ব্যবস্থাপনা
ডায়াবেটিসের ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে সাধারণত: নিম্নলিখিত
বিষয়গুলির উপরে গুরুত্ব দেওয়া উচিত -
- রক্তে শর্করার মাত্রা নিরীক্ষণ
- সুষম খাবার খাওয়া
- নিয়মিত শারীরিক কার্যকলাপ
- প্রয়োজন অনুযায়ী ওষুধ বা ইনসুলিন থেরাপি
- স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারীদের সাথে নিয়মিত চেক-আপ করুন
সঠিক ব্যবস্থাপনা
এবং নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে, ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ব্যক্তিরা সুস্থ জীবনযাপন করতে পারে এবং জটিলতার ঝুঁকি কমাতে পারে এবং সেই ক্ষেত্রে
ননী ফলের জুস তাদের সহায়ক হয়ে উঠতে পারে ।
ডায়াবেটিসে ননীর প্রভাব
বিশেষ করে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া এবং প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপপুঞ্জে বা তার উপকূলীয় অঞ্চলগুলিতে ননী ফল বেশি পরিমাণে জন্মায় এবং এইসব অঞ্চলগুলিতে ঐতিহ্যগতভাবে স্বাস্থ্য এবং সাংস্কৃতিক উভয় ক্ষেত্রেই ননী ফলের ব্যবহারের দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে । খাদ্য পরিপূরক হিসাবে প্রায়শই ননী ফলের রস আকারে, ক্যাপসুল বা শুকনো পাউডার হিসাবে খাওয়া হয় । এটি প্রচুর ভিটামিন, খনিজ পদার্থ এবং বিভিন্ন ফাইটোকেমিক্যাল দ্বারা সমৃদ্ধ, যেগুলির একত্রিত উপস্থিতির জন্যে ফলটি বিভিন্ন উপায়ে স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে বহু লাভ প্রদান করে থাকে ।
ননীর মধ্যে থাকে প্রচুর ভিটামিন-সি, যা শরীরে একটি অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট
হিসাবে কাজ করে, ইমিউন সিস্টেমকে সাহায্য করারা সঙ্গে সঙ্গে এটি রক্তে শর্করার
মাত্রা নিয়ন্ত্রণেও সাহায্য করে । ননীর মধ্যে থাকে বিভিন্ন বি-ভিটামিন, যারা
মানুষের শরীরে বিপাকীয় ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে এবং বিপাকীয় ব্যবস্থার সামগ্রিক উন্নতি
ঘটাতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা নেয় । ননীর মধ্যে উপস্থিত বিভিন্ন খনিজের মধ্যে
পটাশিয়ামের মতো খনিজ তরল ভারসাম্য এবং পেশী ফাংশনের উন্নতি ঘটায় । ননীর মধ্যে থাকা
ফ্ল্যাভনয়েড, ইরিডয়েড বা অ্যালকালয়েডের মতো বিভিন্ন ফাইটোকেমিক্যালস গুলির
অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি এবং অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট বৈশিষ্ট্য দেখতে পাওয়া যায় ।
এই সমস্ত পুষ্টি-উপাদানগুলির
উপস্থিতির জন্যে ননী জুস বিভিন্ন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করতে পারে
: -
১. অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্য : ননীর জুস বিভিন্ন অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট দ্বারা সমৃদ্ধ । অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট
গুলি শরীরের ফ্রি-র্যাডিক্যাল গুলিকে, যারা কোষের ক্ষতি করতে পারে, তাদেরকে
নিরপেক্ষ করতে সাহায্য করে । অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টগুলি শরীরের অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কমাতে সাহায্য করতে পারে
। আর দেখা গেছে, অক্সিডেটিভ স্ট্রেসের উচ্চ মাত্রা প্রায়শ:ই ইনসুলিন প্রতিরোধের সাথে যুক্ত থাকে, যা ডায়াবেটিসের একটি মূল কারণ । আর ননীর মধ্যে থাকা অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টগুলি অক্সিডেটিভ স্ট্রেস
হ্রাস করে শরীরের অগ্ন্যাশয়ের কোষগুলিকে রক্ষা করতে এবং ইনসুলিন উৎপাদন ক্ষমতা
বাড়াতে সাহায্য করতে পারে । আর এইভাবে ননী বা তার মধ্যে থাকা
অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট বৈশিষ্ট্যর জন্যে ননী রক্তে শর্করার নিয়ন্ত্রণকে সাহায্য করে
।
২. প্রদাহ বিরোধী
বৈশিষ্ট্য : প্রদাহ বা
ইনফ্ল্যামেশন ডায়াবেটিসের বিকাশ এবং অগ্রগতিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে
। দীর্ঘস্থায়ী প্রদাহ ইনসুলিন সংকেতকে ব্যাহত করতে পারে । ননীতে এমন কিছু অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি যৌগ থাকে যাদের উপস্থিতির জন্যে ননী
প্রদাহ কমাতে পারে, যার ফলে ইনসুলিন প্রতিরোধী ব্যক্তিদের ডায়াবেটিসের ক্ষেত্রে
উপকার করে । বিভিন্ন পরীক্ষায় দেখা গেছে যে, ননীর জুস প্রদাহজনক পথকে বাধা দিতে
পারে, যার ফলে
প্রো-ইনফ্ল্যামেটরি সাইটোকাইনের মাত্রা কমে যায় । ফলে প্রদাহকে প্রশমিত করে ননী সামগ্রিক
বিপাকীয় স্বাস্থ্যের উন্নতি করতে পারে এবং ডায়াবেটিসের সাথে যুক্ত জটিলতা
প্রতিরোধে সহায়তা করতে পারে।
৩. গ্লুকোজ বিপাক : ননীর মধ্যে থাকা বিভিন্ন পুষ্টি-উপাদানগুলি কার্বোহাইড্রেট বিপাকের সাথে জড়িত এনজাইমগুলিকে প্রভাবিত করতে পারে, যারা শর্করার শোষণকে ধীর করতে সাহায্য করে, ফলত: ধীর গতির শোষণের ফলে শরীরে শর্করা বিপাকের মাত্রা বেড়ে যায় ।
৪. ইনসুলিন সংবেদনশীলতার মাত্রা বৃদ্ধি : ননীর মধ্যে থাকা যৌগগুলি ইনসুলিন সংবেদনশীলতা বাড়িয়ে তুলতে পারে । যার ফলে কোষগুলি আরো কার্যকরভাবে গ্লুকোজ ব্যবহার করতে সক্ষম হয়, আর যার ফল হিসাবে রক্তে শর্করার মাত্রা কমে যায় ।
৫. ওজন নিয়ন্ত্রণে সহায়ক : টাইপ-২ ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের জন্য একটি স্বাস্থ্যকর ওজন বজায় রাখা অপরিহার্য এবং গুরুত্বপূর্ণ বিষয় । ননী লিপিড বিপাক বাড়াতে পারে এবং শরীরের চর্বি কমাতে পারে, যা ডায়াবেটিসের পাশাপাশি তাদের ওজন নিয়ন্ত্রণ করতে চায় এমন ব্যক্তিদের জন্যেও উপকারী হতে পারে । ননীকে এইচ.ডি.এল (ভাল কোলেস্টেরল) বৃদ্ধি করার সাথে সাথে এল.ডি.এল (খারাপ কোলেস্টেরল) এবং ট্রাইগ্লিসারাইডের মাত্রাকে কমাতে দেখা গেছে । আর ননীর এই গুণের জন্যে ননী পরোক্ষভাবে ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ব্যক্তিদের উপকার করতে পারে ।
৬) রক্তে শর্করার মাত্রা স্থিতিশীল করা : ননী জুস রক্তে শর্করার মাত্রা স্থিতিশীল করতে সাহায্য করতে দেখা যায়, যার ফলে প্রাকৃতিক উপায়ে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে ননী গুরুত্বপূর্ণভাবে সাহায্য করতে পারে ।
ননী জুস পান করার ক্ষেত্রে সতর্কতা
যদিও ননী সাধারণত:
বেশিরভাগ মানুষের জন্যে নিরাপদ বলেই বিবেচিত হয়, তবুও এটি আপনার দৈনিক ডায়েটে যোগ করার আগে একজন স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারী বা
পেশাদার ডায়েটেশিয়ানের সাথে পরামর্শ করে নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ, বিশেষ করে যদি আপনার কোন রকমের বিশেষ স্বাস্থ্যের সমস্যা থাকে বা তার
জন্যে আপনি কোন দৈনিক ওষুধ সেবন করেন । কারণ ননী কোন নির্দিষ্ট ওষুধের সাথে বিপরীত
যোগাযোগ স্থাপন করতে পারে । যদি আপনার কোনরকমের অ্যালার্জির সমস্যা বা হরমোনের
সমস্যা থাকে বা তার জন্যে কোনরকমের ওষুধ সেবন করেন, অথবা আপনার কোনরকমের কিডনীর
সমস্যা থাকে, তাহলে অবশ্যই ননী গ্রহনের আগে কোন স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারী বা
পেশাদার ডায়েটেশিয়ানের সাথে পরামর্শ করে নেওয়া উচিত হবে । মনে রাখা দরকার, আমরা ননীর
মতো প্রাকৃতিক প্রতিকার সম্পর্কে সবসময়েই আরো শিখি । আর এটি মনে রাখা অপরিহার্য যে ঐতিহ্যগত
চিকিৎসা, চিকিৎসার পরিপূরক, প্রতিস্থাপন নয় । একটি সামগ্রিক চিকিৎসা পদ্ধতির
সাথে যারা ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করে উন্নত
স্বাস্থ্য এবং সুস্থতার দিকে পথ প্রশস্ত করতে চায় ননী তাদের সাহায্য করতে পারে ।
ডায়াবেটিস এবং তার চিকিৎসার ফলে বিভিন্ন প্রতিক্রিয়ার ফলে আজ গোটা বিশ্বে বহু মানুষ ভুক্তভোগী । আর তাই আজ ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের জন্যে তার বিভিন্ন প্রাকৃতিক প্রতিকারের অনুসন্ধানে মানুষ হন্যে হয়ে পড়েছে । আর ঠিক সেই সময়, ননী তার রক্তে শর্করার নিয়ন্ত্রণ ক্ষমতা, অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট বৈশিষ্ট্য, অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি প্রভাব, ওজন নিয়ন্ত্রণের ক্ষমতা ইত্যাদি গুণগুলো নিয়ে ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য অতিরিক্ত সহায়তা প্রদান করতে পারে । তবে সর্বদার মতো, আপনার খাদ্য বা চিকিৎসা পরিকল্পনায় ননীকে অন্তর্ভুক্ত করার আগে একজন স্বাস্থ্যসেবা পেশাদারের সাথে বা কোন পেশাদার ডায়েটেশিয়ানের সাধে পরামর্শ করুন ।
আশা করি এই ব্লগ পোস্টটি পড়ে আপনাদের মধ্যে ডায়াবেটিস বা ডায়াবেটিসের উপরে ননীর প্রভাব সম্পর্কে কিছুটা সচেতনতা আনতে সক্ষম হবে এবং আপনাকে সুস্থ থাকতে ও সুস্থভাবে বাঁচতে সহায়ক হবে । পোস্টটি পড়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ এবং যদি আপনি পোস্টের বিষয় এবং তথ্যগুলি আপনার ভালো লেগে থাকে, তাহলে অনুগ্রহ করে অন্যদের সচেতন করে তোলার জন্যে এবং সুস্থ থাকতে সাহায্য করার জন্য শেয়ার করার অনুরোধ জানাই ।
0 মন্তব্যসমূহ