Advertisement 90 x 728

হার্টের জন্য উপকারী খাবার : আপনার হার্টকে সতেজ রাখুন প্রাকৃতিক উপায়ে

হার্ট হলো আমাদের শরীরের অঙ্গগুলির মধ্যে অক্লান্ত, অবিরতভাবে কাজ করে যাওয়া  একজন কর্মী । যার নিরবচ্ছিন্ন কাজ করার ফল হলো আমাদের বেঁচে থাকা । সারা জীবন একটানা কাজ করে যাওয়া এই অঙ্গটির যত্ন নেওয়া আমাদের ভালো থাকার জন্যে অত্যন্ত জরুরী । কিন্তু বর্তমান সময়ের অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস, মানসিক চাপ এবং  অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন আমাদের হার্টকে দিন দিন দুর্বল করে তুলছে । আজ হৃদরোগ হয়ে উঠেছে বিশ্বব্যাপী মৃত্যুর একটি প্রধান কারণ । তবে, ভালো খবর হলো—সঠিক খাবার বেছে নিয়ে আমরা সহজেই আমাদের হার্টকে সুস্থ এবং সক্রিয় রাখতে পারি ।

হার্টের জন্য উপকারী খাবার

হার্টের জন্য উপকারী খাবার : একটি সম্পূর্ণ গাইড

আজকের এই বিস্তারিত গাইডে আমরা আলোচনা করবো, সেই সমস্ত হার্টের জন্য উপকারী খাবার সম্পর্কে, যা আপনার হার্টকে শক্তিশালী করবে, রক্তচাপ ও কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখবে এবং হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করবে প্রাকৃতিক উপায়ে ।

হার্টের স্বাস্থ্য কেন গুরুত্বপূর্ণ? 

হার্ট আমাদের পুরো দেহে অক্সিজেন ও পুষ্টি-উপাদান সমৃদ্ধ রক্ত পাম্প করে সরবরাহ করে। এটি ঠিকভাবে কাজ না করলে শরীরের অন্যান্য অঙ্গও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সুস্থ হার্ট মানেই সুস্থ জীবন। নিয়মিত ব্যায়ামের পাশাপাশি হার্ট ভালো রাখার খাবার আমাদের ডায়েটের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অংশ হওয়া উচিত ।

হার্টের সুস্থতায় কোন পুষ্টি উপাদানগুলো জরুরি?

হার্ট-বান্ধব খাবার বেছে নেওয়ার আগে জেনে নেওয়া যাক, কোন পুষ্টি-উপাদানগুলো আমাদের হার্টের জন্য বিশেষভাবে প্রয়োজনীয় -

ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড : এটি খারাপ কোলেস্টেরল (LDL) কমায় ও ভালো কোলেস্টেরল (HDL) বৃদ্ধি করে, রক্ত জমাট বাঁধা রোধ করে ।

সলিউবল ফাইবার : এগুলি রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে ।

অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট (ফ্ল্যাভনয়েড, রেসভেরাট্রল ইত্যাদি) : এগুলি রক্তধমনীর দেওয়ালগুলোকে মজবুত রাখে এবং ফ্রি-র‌্যাডিক্যালসের থেকে রক্ষা করে । 

মনোআনস্যাচুরেটেড ও পলিআনস্যাচুরেটেড ফ্যাট : এই স্বাস্থ্যকর ফ্যাটগুলি খারাপ ফ্যাটগুলিকে প্রতিস্থাপন করে হার্টের স্বাস্থ্য রক্ষা করতে সাহায্য করে ।

পটাশিয়াম : এই খনিজ উপাদানটি রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

ম্যাগনেসিয়াম : এই খনিজ উপাদান হার্টের রিদম ঠিক রাখতে সহায়তা করে ।

হার্টের জন্য সেরা ১২টি উপকারী খাবার 

এবার আসুন, সরাসরি জেনে নেওয়া যাক, ১২টি হার্টের জন্য উপকারী খাবারের নাম এবং তাদের গুণাবলী -

১) ফ্যাটি ফিশ বা চর্বিযুক্ত মাছ 

কেন খাবেন : স্যালমন, টুনা, ম্যাকারেল, ইলিশের মতো মাছে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিডের ভাণ্ডার রয়েছে । সপ্তাহে অন্তত: দুইবার এই ধরনের মাছ খাওয়া হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি উল্লেখযোগ্য হারে কমিয়ে আনে ।

কিভাবে খাবেন : গ্রিলড, বেকড বা ভাপে সিদ্ধ করে খাওয়া সবচেয়ে ভালো । প্রচুর পরিমাণে ডিপ ফ্রাই না করে রান্না করুন ।

২) ওটস বা জই

কেন খাবেন : ওটসে রয়েছে বিটা-গ্লুকান (beta-glucan) নামক একটি শক্তিশালী সলিউবল ফাইবার, যা আমাদের শরীরের রক্তে খারাপ কোলেস্টেরলের শোষণের ক্ষেত্রে বাধা প্রদান করে ।

কিভাবে খাবেন : সকালের ব্রেকফাস্টে ওটমিল বা ওটসের পরিজ বা স্মুদিতে এটিকে যোগ করেও খেতে পারেন ।

৩) বেরী জাতীয় ফল 

কেন খাবেন : স্ট্রবেরী, ব্লুবেরী, ব্ল্যাকবেরীতে অ্যান্থোসায়ানিন নামক শক্তিশালী একটি অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট থাকে, যা রক্তচাপ কমাতে এবং রক্তনালীর স্বাস্থ্য রক্ষায় কার্যকরী  ভূমিকা নেয় ।

কিভাবে খাবেন : টক দই, সিরিয়ালস বা স্যালাডের সাথে তাজা বেরী যোগ করে খেতে পারেন বা স্ন্যাক্স হিসেবে সরাসরি খেতে পারেন ।

৪) ডার্ক চকোলেট

কেন খাবেন : সত্তর শতাংশ (70%)বা তার বেশি কোকাওয়া যুক্ত ডার্ক চকোলেটের মধ্যে ফ্লেভানলস নামক উপাদান থাকে, যা রক্ত চলাচল উন্নত করে এবং রক্তচাপ কমায় । তবে খুব পরিমিত পরিমাণে খেতে হবে ।

কিভাবে খাবেন : দিনে এক বা দুই কোয়াড (প্রায় ২০-৩০ গ্রাম) ডার্ক চকোলেট খাওয়া একজন সাধারণ মানুষের জন্যে যথেষ্ট ।

৫) বিভিন্ন রকমের বাদাম

কেন খাবেন : আখরোট, আমন্ড, পেস্তা ইত্যাদি বাদাম জাতীয় খাবারে থাকে স্বাস্থ্যকর প্রোটিন, ফ্যাট এবং ফাইবার । আর এইসব পুষ্টি-উপাদানগুলি হার্টের প্রদাহ (inflammation) কমাতে এবং কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে ।

কিভাবে খাবেন : কোন কিছু বাড়তি উপাদান (যেমন-লবণ বা চিনি) না মিশিয়ে একমুঠো বাদাম  (মাত্র এক কাপের ১/৪ ভাগ) সারাদিনে স্ন্যাকস হিসাবে খেতে পারেন ।  

৬) সবুজ শাক-সবজি

কেন খাবেন : পালং শাক, কলমি শাক, ব্রকোলি ইত্যাদিতে স্বাস্থ্যকর ভিটামিন, মিনারেলস এবং অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টস থাকে, বিশেষ করে ভিটামিন কে, যারা শরীরের রক্তধমনীগুলিকে রক্ষা করে ।

কিভাবে খাবেন : বাড়িতে ঘরোয়া পদ্ধতিতে বিভিন্ন উপাদানের সঙ্গে মিশ্রিত করে তরকারি বা সবজি হিসাবে রান্না করে অথবা এগুলির স্যুপ, স্ট্যু হিসাবে বা স্যালাডের সঙ্গে মিশ্রিত করে খেতে পারেন ।

৭) অলিভ অয়েল 

কেন খাবেন : এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ অয়েল মনোআনস্যাচুরেটেড ফ্যাট এবং অ্যান্টি-অকিসড্যান্টে সমৃদ্ধ, যারা রক্তনালীর স্বাস্থ্য ও সুরক্ষা প্রদান করার পাশাপাশি কোলেস্টেরলের নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে ।

কিভাবে খাবেন : স্যালাডে বা রান্নায় ব্যবহার করতে পারেন । তবে এটি যোগ করে উচ্চ তাপে রান্না না করাই ভালো ।

৮) শিম ও ডাল জাতীয় খাবার

কেন খাবেন : মসুর ডাল, ছোলা, রাজমা ইত্যাদিতে প্রচুর সলিউবল ফাইবার, প্রোটিন এবং ম্যাগনেশিয়ামের মতো উপাদান থাকে, যারা রক্তচাপ ও কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে ।

কিভাবে খাবেন : ডাল বা সবজি হিসাবে রান্না করে অথবা স্যালাডের সঙ্গে মিশিয়ে অথবা স্যুপ হিসাবে রান্না করে নিয়মিত খেতে পারেন ।

৯) টমেটো 

কেন খাবেন : টমেটোতে লাইকোপেন (Lycopene) নামক একটি শক্তিশালী অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট থাকে, যা হার্ট অ্যাটাকের ঝুকি কমিয়ে দেয় ।

কিভাবে খাবেন : সবজিতে রান্না করা টমেটো, ঘরোয়াভাবে তৈরী করা সস ইত্যাদি থেকে লাইকোপেন নামক উপাদান সহজে শোষিত হতে পারে । সুতরাং ঘরে বিভিন্নভাবে টমেটো রান্না করে খেতে পারেন ।

১০) অ্যাভোকাডো 

কেন খাবেন : অ্যাভোকাডো মনোআনস্যাচুরেটেড ফ্যাট ও পটাশিয়ামের দুর্দান্ত উৎস, যা কোলেস্টেরল ও রক্তচাপ দুই-ই নিয়ন্ত্রণে রাখে।

কিভাবে খাবেন : স্যান্ডউইচে স্প্রেডার হিসাবে, স্যালাডে বা স্মুদিতে মিশিয়ে খেতে পারেন।

১১) গ্রিন টি 

কেন খাবেন : গ্রিন টিতে ক্যাটেচিন নামক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে, যা কোলেস্টেরল শোষণ কমায় ও ধমনী পরিষ্কার রাখে।

কিভাবে খাবেন : চিনি যোগ না করে সারাদিনে ১-২ কাপ গ্রিন টি পান করলে লাভ পেতে পারেন ।

১২) রসুন 

কেন খাবেন : রসুনে অ্যালিসিন (Allicin)নামক জৈব যৌগ থাকে, যা রক্তচাপ কমাতে ও রক্ত জমাট বাঁধার কাজে ভূমিকা নেয় ।

কিভাবে খাবেন : কাঁচা বা সামান্য থেঁতো করা (lightly crushed)রসুন রান্নায় যোগ করলে এর গুণাগুণ বেশি পাওয়া যায় ।

কোন খাবারগুলো এড়িয়ে চলবেন ?

হার্টের জন্য উপকারী খাবারগুলি গ্রহণের পাশাপাশি যে খাবারগুলো হার্টের জন্য ক্ষতিকর, সেগুলো এড়িয়ে যাওয়ার জন্যে সেগুলি সম্পর্কে সচেতন হওয়াও সমান গুরুত্বপূর্ণ –

  • ট্রান্স ফ্যাট : বেকারি পণ্য, ফাস্ট ফুড, মার্জারিন।
  • অতিরিক্ত লবণ : প্রসেসড ফুড, চিপস, প্যাকেটজাত স্ন্যাক্স।
  • মিষ্টিযুক্ত পানীয় এবং চিনি : বিভিন্ন সফট ড্রিঙ্কস, সুগার অ্যাডেড পানীয়, এনার্জি ড্রিঙ্কস, বিভিন্ন মিষ্টিযুক্ত খাবার বা মিষ্টি (সুইটস) ।
  • লাল মাংস ও প্রসেসড মিট : গোরুর মাংস, বার্গার, সসেজ ইত্যাদি।
  • রিফাইন্ড কার্বোহাইড্রেট : ময়দা, সাদা ভাত, সাদা পাঁউরুটি।

হার্ট ভালো রাখার জন্য কিছু জীবনযাপনের পরামর্শ 

  • নিয়মিত ব্যায়াম করুন : সপ্তাহে ১৫০ মিনিট মাঝারি ধরনের ব্যায়াম (হাঁটা, সাইকেল চালানো) করুন।
  • শরীরের ওজনের ভারসাম্য রাখুন : কোন মানুষের উচ্চতার অনুপাতে শরীরের অতিরিক্ত ওজন হার্টের উপর বাড়তি চাপের সৃষ্টি করে, তাই উচ্চতা অনুপাতে শরীরের ওজনের অনুপাত নিয়ন্ত্রণে রাখুন ।
  • ধূমপান ত্যাগ করুন : ধূমপান হার্টের রোগের জন্য একটি বড় রিস্ক ফ্যাকটর ।
  • মানসিক চাপ কমান : যোগব্যায়াম, মেডিটেশন ও পর্যাপ্ত ঘুম চাপ নিয়ন্ত্রণে  সাহায্য করে।
  • রক্তচাপ ও কোলেস্টেরল পরীক্ষা : নিয়মিত হেলথ চেকআপ করান।

 

প্রায়শ:ই জিজ্ঞাসিত প্রশ্নাবলী (FAQs)

১) সপ্তাহে কতবার মাছ খাওয়া উচিত হার্টের জন্য ? 

উত্তর ) : হার্ট বিশেষজ্ঞরা সপ্তাহে অন্তত: দুইবার (মোট ২০০-৩০০ গ্রাম) ফ্যাটি ফিশ খাওয়ার পরামর্শ দেন। এটি শরীরের ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিডের চাহিদা পূরণ করতে সাহায্য করে ।

২) কোন ফলটি হার্টের জন্য সবচেয়ে ভালো ?

উত্তর ) : কোনো একটি ফলকে সেরা বলা মুশকিল, তবে সাধারণভাবে বেরী জাতীয় ফল (যেমন-ব্লুবেরী, ব্ল্যাকবেরী, স্ট্রবেরী), পেয়ারা, কমলা ও আপেল হার্টের জন্য অত্যন্ত উপকারী । কারণ, এ্ইসব ফলগুলো অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট এবং ফাইবারে সমৃদ্ধ ।

৩) ডিম কি হার্টের জন্য খারাপ ?

উত্তর ) : আগেকার ধারণার বিপরীতে গিয়ে বর্তমানের বহু গবেষণায় দেখা যাচ্ছে, যে সারাদিনে একটি করে ডিম খাওয়া একজন স্বাস্থ্যকর মানুষের হার্টের জন্য ক্ষতিকারক হয় না । কারণ ডিমে থাকে প্রোটিন এবং অন্যান্য পুষ্টি-উপাদান । তবে যারা উচ্চ কোলেস্টেরলের সমস্যায় ভুগছেন বা যাদের হৃদরোগ আছে, তাদের চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে খাওয়া উচিত ।  

৪) ঘি খাওয়া কি হার্টের জন্য নিরাপদ ?

উত্তর ) : পরিমিত পরিমাণে ( সারাদিনে ১-২ চা চামচ) ঘি খাওয়া যেতে পারে । কারন, ঘি-তে রয়েছে স্বাস্থ্যকর স্যাচুরেটেড ফ্যাট। তবে অতিরিক্ত গ্রহণ করলে তা কোলেস্টেরল বাড়িয়ে দিতে পারে । সাধারণভাবে, সূর্যমুখী বা অলিভ অয়েলকে প্রাধান্য দেওয়াই ভালো ।

৫) হার্ট অ্যাটাকের পর কী ধরনের খাবার খাওয়া উচিত?

উত্তর ) : হার্ট অ্যাটাকের পর ডাক্তারের দেওয়া নির্দেশিকা মেনে চলতে হবে। সাধারণত, কম লবণ, কম চর্বি, কম কোলেস্টেরল এবং উচ্চ ফাইবারযুক্ত খাবার (শাকসবজি, ফল, গোটা শস্য, মাছ) খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। প্রসেসড ফুড বা জাঙ্ক ফুড সম্পূর্ণভাবে এড়িয়ে চলতে হবে ।

৬) কোলেস্টেরল কমানোর সবচেয়ে কার্যকরী খাবার কোনটি? 

উত্তর ) : ওটস বা জইয়ের ভুষি, বিভিন্ন ধরনের বাদাম, শিম এবং ডাল, ফ্যাটি ফিশ – এই খাবারগুলো কোলেস্টেরল কমানোর জন্য সবচেয়ে বেশি কার্যকরী হিসেবে প্রমাণিত। কারণ, এগুলো ডায়েটারি ফাইবার এবং ওমেগা-৩ ফ্যাটের সমৃদ্ধ উৎস ।

 

সব শেষে ....

আপনার হার্ট হচ্ছে আপনার জীবনের ইঞ্জিন। এই ইঞ্জিনকে সচল ও শক্তিশালী রাখার দায়িত্ব আপনারই। হার্টের জন্য উপকারী খাবার আপনার দৈনন্দিন ডায়েটে যোগ করে, একটু সচেতন হয়ে আপনি সহজেই হৃদরোগের ঝুঁকি কমিয়ে ফেলতে পারেন । মনে রাখবেন, জীবনে ছোটখাটো পরিবর্তনই বড় সাফল্য এনে দিতে পারে । সুতরাং আজ থেকেই হার্ট-হেলদি লাইফস্টাইলের শুরু করে দিন এবং উপভোগ করুন প্রাণবন্ত, সুস্থ এবং হার্ট অ্যাটাকের ঝুকি হীন জীবন । 

বিঃদ্রঃ : মনে রাখবেন, এই ব্লগ পোস্টটি শুধুমাত্র সচেতনতা এবং তথ্যপ্রদান করার উদ্দেশ্যে লেখা । কখনোই কোন খাবার চিকিৎসার বিকল্প হতে পারে না । আর হার্টের সমস্যার জন্য সবসময়ই কোন পেশাদার পুষ্টিবিদ বা ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করে তবেই আপনার দৈনিক ডায়েট প্ল্যানে কোন খাবারের অন্তর্ভুক্তি করাটাই সবচেয়ে ভালো বিকল্প।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ